আবুল কালাম , চট্টগ্রাম :

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে গরীব, অসহায়, অস্বচ্ছলদের জন্য প্রাথমিকভাবে ৪১ হাজার বিনা মূল্যে স্বাস্হ্য সেবা কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। এ সব কার্ডধারীরা চসিক পরিচালিত চিকিৎসাকেন্দ্র গুলো থেকে বিনামূল্যে সেবা নিতে পারবেন তরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনের কেবি আব্দুচ ছত্তার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ নাছির উদ্দীন।
মেয়র হিসেবে চার বছর পূর্তি উপলক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগের অর্জন তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মেয়র বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে। কমিটিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সমাজসেবক, স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থার কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। কমিটির তালিকা অনুযায়ী কার্ড দেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৭ সালে স্বাস্থ্যসেবা কার্ড দেওয়ার প্রকল্প নিয়েছিল চসিক। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় তিন কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রাথমিকভাবে ২৭ ওয়ার্ডে ৯ হাজার কার্ড বিতরণ করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেনি।
সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র আরও বলেন, ‘সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের সুনাম দেশের গণ্ডি ছাড়িয়েছিল। এর পরের মেয়রের আমলে তা দুর্নামে পরিণত হয়। আমি সুনাম পুনরুদ্ধারে পরিকল্পনা নিই। এতে নগরবাসীর আস্থা তৈরি হয়। ফলে ক্রমেই চসিকের হাসপাতাল ও স্বাস্থকেন্দ্রগুলোতে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে।’
সম্মেলনে গত চার বছরে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।
তিনি জানান, চসিক জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিইউ, ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালেএনআইসিইউ চালু, বস্তির জন্য ডিজিটাল মোবাইল স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট, সিনিয়র সিটিজেনদের পুনর্বাসনে ওল্ড এজ হোম প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে।
চসিকের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি নাজমুল হক ডিউকের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র নিছার আহমদ মনজু, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লকব, শৈবাল দাশ সুমন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আলী প্রমুখ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।