বুধবার সকাল ৮টার দিকে আদিনাথ পাহাড়ের চূড়া থেকে তাকে উদ্ধারের পর কক্সবাজার হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়।
উদ্ধার হওয়া ওই ব্যবসায়ীর নাম প্রদুল চন্দ্র বর্ধন। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকার পানবরাই এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম অনিল চন্দ্র বর্ধন।
সূত্র জানায়, সকালে কয়েকজন পানচাষি পাহাড়ের চূড়ায় একটি খাদের মধ্যে প্রদুল চন্দ্রকে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
এ সময় তারা আদিনাথ মন্দিরের নির্বাহীকে বিষয়টি জানান। পরে বিষয়টি মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলে তাকে ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়া হয়।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, হাসপাতালে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় পরে কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কাপাসিয়া থানার এসআই আব্দুল মুমিন যুগান্তরকে জানান, কক্সবাজার হাসপাতালে তার জরুরি চিকিৎসা চলছে। জ্ঞান ফিরলেও পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। ডাক্তারের ছাড়পত্র পেলে বৃহস্পতিবার সকালেই তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।
এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর যুগান্তরকে জানান, উদ্ধার হওয়া ওই ব্যবসায়ী ঢাকার গাজীপুরের বাসিন্দা। গত ২ অক্টোবর থেকে পরিবার তার সন্ধান পাচ্ছিল না। পরে ঢাকার পুলিশ তার অনুসন্ধানে মাঠে নামেন। তার ব্যবহার করা ফোনের নেটওয়ার্ক বিশ্লেষণ করে পুলিশ ১০ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি কক্সবাজার অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত হন।
তিনি বলেন, এ তথ্যের সূত্র ধরে ঢাকা থেকে আসা একদল পুলিশ কক্সবাজারে তার সন্ধান করতে থাকে।
ওসি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে ৯ অক্টোবর দিনের কোনো এক সময় তিনি মহেশখালীর আদিনাথ এলাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে পাহাড়ের চূড়ায় উঠার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে অজ্ঞান মুডে বসা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার কাছে ১৪ হাজার টাকা, একটি রূপার ও দুটি স্বর্ণের অংটি পাওয়া গেছে।