প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস (১৭ই অক্টোবর) উপলক্ষ্যে বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অক্টোবর মাসব্যাপী নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭অক্টোবর) কক্সবাজার জেলায় ব্র্যাকের আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাঃ শাজাহান আলি । তিনি ব্র্যাকের উল্লেখিত কর্মসূচির অংশগ্রহণকারীদের বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এসময় তাঁর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, সুব্রত বিশ্বাস, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, সফিউদ্দীন উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)-সমাজ সেবা অধিদপ্তর, ডা: অসীম বরন সেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, কক্সবাজার সদর, কক্সবাজার, ব্র্যাকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মো; আব্দুস সালাম, হেড অফ এইচসিএমপি, খালেদ মোর্শেদ হেড অফ অপারেশন্স, মো: নজরুল ইসলাম প্রজেক্ট ম্যানেজার ইউপিজি কর্মসুচি, ও মো: জাহাঙ্গীর আলম জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি, কক্সবাজার এছাড়াও ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসুচির কর্মকর্তা প্রমুখ।
দেশজুড়ে অতিদারিদ্র্য নিরসনে ব্র্যাকের ভূমিকার প্রশংসা করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘দারিদ্র বিমোচনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এর পাশাপাশি ব্র্যাকের এই কার্যক্রম দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখছে বলে আমি মনে করি। কক্সবাজারে রিফুজি (রোহিঙ্গা) আসার ফলে উদ্ভুদ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান কল্পে- ব্র্যাকের এই ধরনের কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এছাড়াও তিানি বলেন আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের সুদ মুক্ত লোন বিতরন ও ম্যাচ সেভিং- কার্যক্রম প্রশংসার দাবিদার ’।
জাতিসংঘ এ বছরের আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবসের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘পরিবার, শিশু ও সমাজের ক্ষমতায়ন, সকলের অংশগ্রহণে দারিদ্র্য বিমোচন’ দিবসটিকে কেন্দ্র করে ব্র্যাকের আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রাম কক্সবাজার জেলাসহ বর্তমানে কর্মসূচিটি চলমান রয়েছে এরকম সকল জেলার (৪৩টি) জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক মাঠকার্যক্রম পরিদর্শন আয়োজন করেছে।
ব্র্যাকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে, সরকারের মাঠপর্যায়ে তথা জেলা প্রশাসকদের আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রাম বিষয়ে সম্যক ধারণা দেওয়া এবং জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের কাছে কর্মসূচিটির অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান তুলে ধরা। যা ভবিষ্যতে সরকারের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরিতে অবদান রাখবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে অতিদারিদ্র্য দূরীকরণে আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রাম কীভাবে অবদান রাখতে পারে, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসক এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের পরামর্শ গ্রহণ করা, যা ব্র্যাকের ভবিষ্যত করণীয় নির্ধারণে সহায়ক হবে ।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলায় ২০০৯ সালে আলট্রা-পুওর গ্র্যজয়েশন প্রোগ্রামের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলাটির ১৬৩৬৬ টি অতিদরিদ্র পরিবার ব্র্যাকের আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের আওতায় এসেছে। ২০১৯ সালে কক্সবাজার জেলায় এই কর্মসূচিটিতে অংশ নিচ্ছে ২টি উপজেলার ১৮০০ টি অতিদরিদ্র পরিবার। ২০০২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ৪৭টি জেলার বিশ লক্ষের বেশি অতিদরিদ্র পরিবার আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের আওতায় এসেছেন যাদের ৯৫% কর্মসূচি শেষ হয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘমেয়াদেও তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।