সংবাদদাতা :
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে দীর্ঘদিনের চলমান বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে মোঃ শাহ ঘোনা গ্রামের মোশতাক আহমদের এর পুত্র মিজান নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত যুবককে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় জানাযার নামাজ শেষে স্থানিয় কালারমারছড়া বাজার এলাকার কবর স্থানে দাফন সম্পন্ন করা হবে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের যে কোন মুর্হুতে সংর্ঘষের আশঙ্কা করছেন স্থানিয় বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, দু’দিন আগে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় মারা যান তিনি। ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই জন। অপর স্থানিয় দাপুটে এক গডফাদার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মোহাম্মদ রশিদ নামে আহত আরও একজনের অবস্থাও সংকটাপন্ন। আহত রশিদ বিভিন্ন মামলার আসামি হওয়ায় গোপনে তার চিকিৎসা চলছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে।
জানাগেছে,গত ১৩ অক্টোবর রবিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার কালারমার ছড়া বাজারের পূর্ব পাশে দু’টি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষে অন্ততঃ ৩ জন আহত হয়। আশংকাজনক হওয়ায় আহত মোহাম্মদ মিজানুর রহমান(৩৬)কে ওই দিনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হওয়ার পর তার শরীর থেকে বেশ রক্তক্ষরণ হয়।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছেন -নিহত মিজান ওই দিন কালারমার ছড়া বাজারের পূর্ব পাশে মামার বাড়িতে দাওয়াতে অংশগ্রহণ করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। ফেরার পথে স্থানীয় ছৈয়দ আহমদের পুত্র প্রতিপক্ষের জনৈক মোহাম্মদ রশিদের নেতৃত্বে একদল পেশাদার সন্ত্রাসীদের গুলিতে  মিজানের মৃত্যু হয়।
জানাগেছে স্থানীয় প্রভাবশালী খউস্বর গ্রুপ ও কমলারব গ্রুপ এর মধ্যে বিরোধ দীর্ঘ দিনের। এ বিরোধের জের ধরেই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন। ঘটনায় খউস্বর গ্রুপের মিজান ও কমলারব গ্রুপের রশিদকে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিজান মৃত্যুবরণ করেন। তবে কালারমার ছড়ার একটি সূত্র বলছে -তাদের পক্ষে হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে। চট্টগ্রাম থেকে নিহতের মরদেহ গতকাল সন্ধ্যা কালারমারছড়া পৌঁছেছে। নিহত পরিবারের ভাষ্যমতে,  মিজান কালারমারছড়া বাজার এলাকার মামার বাড়ী থেকে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে আগে থেকে উৎপেতে থাকা তারেকের নির্দেশে ছৈয়দ আহমদের পুত্র শীর্ষ সন্ত্রাসী রশিদের নেতৃত্বে একদল পেশাদার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে এক পর্যায়ে গুলি তার পেটে ঢুকে গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই দিন পর তিনি মারা যান।
নিহতের পিতা মোশতাক আহমদ বলেন, স্থানিয় এক জনপ্রতিনিধি বাহিনীর লোকজন কালারমারছড়ায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। ফলে তার অত্যাচারে এলাকা থেকে বিতাড়িত হতে হয়েছে আমাদের পরিবারসহ অনেকের।
তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে ক্ষান্ত হননি তিনি। তার বাহিনীর হাতে আমার ছেলেকে জীবন দিতে হয়েছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

বর্তমানে কালারমারছড়া থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে স্থানিয় এলাকাবাসীর সূত্রে জানাগেছে। মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, কালারমারছড়া দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হবে।