এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে গতকাল বুধবার সকালে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চকরিয়া পৌরশহরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। চকরিয়া পৌরশহরের নিউ মার্কেট প্রাঙ্গণে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) টিআইবি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহন করেন।

সনাকের সাবেক ইয়েস দলনেতা মো. মোহাম্মদ ইশফাতুল হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সনাক চকরিয়ার সভাপতি অধ্যাপক একেএম শাহাবুদ্দিন, সহ-সভাপতি অধ্যাপক বুলবুল জান্নাত শাহীন, সনাক সদস্য জিয়া উদ্দিন, স্বজন সহ-সমন্বয়ক জাহানারা বেগম, টিআইবির এরিয়া ম্যানেজার এ.জি.এম. জাহাঙ্গীর আলম ও সহ-দলনেতা রোকেয়া পারভিন রুক্সি।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় (বুয়েট) এর ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ড জাতির জন্য অশণি সংকেত। কারণ যারা আবরারকে নির্মম ও নিশংস হত্যা করেছে তারা একই বিশ^বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী। মেধাবী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন জাতি এ ধরণের বর্বরতা আশা করতে পারে না। এই ঘৃন্যতম হত্যাকান্ড হয়েছে শুধুমাত্র মত প্রকাশের কারণে। এছাড়াও সংবাদ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্যে উঠে এসেছে দলীয় রাজনীতির ব্যনারে ও র‌্যাগিংয়ের নামে ভিন্নমত প্রকাশকারী শিক্ষার্থীদের উপর চলছে নানা রকম অসহনীয় নির্যাতন। এর সবকিছু সংঘটিত হচ্ছে একশ্রেনির শিক্ষক-কর্মচারিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নির্লিপ্ততায়। যা পুরো জাতিকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে দ্বিধাগ্রস্ত করে তুলতে পারে।

বক্তারা বলেছেন, এই অবস্থা থেকে জাতিকে উত্তরণের পথ খুজে নিতেই হবে। ছাত্ররাজনীতিকে দলীয় লেজুড়ভিত্তিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে মুক্ত করে অতীতের গৌররোজ্জল ভূমিকায় অবতীর্ণ করতে হবে, শিক্ষাঙ্গণকে পুরোপুরি দলীয় রাজনীতি ও সন্ত্রাসম্ক্তু করতে হবে, সকল শিক্ষাঙ্গণে সাংস্কৃতিক চর্চা ও অবাধ মুক্তমত প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিদের দলীয় লেজুরভিত্তিক সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে। সর্বোপরি আবরার হত্যাকান্ডসহ সকল হত্যাকান্ডে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

মানববন্ধনে সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক. সনাক, স্বজন, ইয়েস ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানাশ্রেনি পেশার সাধারণ মানুষ স্বত:ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।