এস. এম. তারেক, ঈদগাঁও:
জেলার বৃহৎ বাণিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁও বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ শাহরিয়ার মোক্তারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। তবে, অভিযানের খবর পেয়ে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী দোকানপাট খোলা রেখে পালিয়ে যায়। তবু রেহায় মেলেনি। গুনতে হয়েছে অর্থদণ্ড।
অভিযান চলাকালে ফুটপাত দখলের অভিযোগে আদালত বাজারের শাপলা চত্তর পয়েন্টে তিনটি দোকান সিলগালাসহ কয়েকটি দোকান থেকে জরিমানা আদায় করে। এরপর আদালত তরকারী বাজারের বিভিন্ন দোকানে পেঁয়াজের দাম, পণ্য তালিকাসহ ফুটপাতে পালকি দোকান ভাড়া দেওয়া বিষয়ে তদারকি করে। ফোরষ্টারের সামনে থেকে টুলু নামের এক ফুটপাত ব্যবসায়ীকে এসময় আটক করে আদালত। অভিযান চলাকালে আদালতের সাথে ছিলেন, মিডল কক্স ইউনাইটেড সভাপতি কাফি আনোয়ার, জালালাবাদ যুবলীগ সভাপতি হাসান তারেক, ইউপি সদস্য নুরুল আলম, ঈদগাঁও রিপোর্টাস সোসাইটির সাবেক সভাপতি এম. আবুহেনা সাগর, সদস্য ছরোয়ার শিফাসহ আরো অনেকে। অভিযানের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তড়িঘড়ি করে অসাধু ব্যবসায়ীদের অনেকে দোকান-পাট বন্ধ করে গা ঢাকা দেয় । প্রসঙ্গত,ঈদগাঁও বাজারে বেশ ক’দিন ধরে অসাধু ব্যবসায়ীরা পেয়াজসহ বিভিন্নপ্রকার ভোগ্যপণ্য সামগ্রী দ্বিগুন দামে বেচাবিক্রি করে আসছিল। এদিকে অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীরা পেয়াজ প্রতিকেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করলেও অভিযান শেষ হওয়ার পরপরই আবারও অতিরিক্ত দামে পেয়াজ বিক্রি করতে থাকে। এদিকে ভোক্তা সাধারণের দাবী নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও মূল্য তালিকা না টাঙ্গানো পর্যন্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের লাগাম কোনভাবেই টেনে ধরা সম্ভব নয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে লাপাত্তা ব্যবসায়ীরা: জরিমানা আদায়, দোকান সিলগালা
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।