ফেনী সংবাদদাতাঃ
ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আন্ত:জেলা ডাকাত সর্দার ইকবাল হোসেন (৩৫) ওরফে ইকবাল ডাকাত নিহত হয়েছে।
এসময় আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলা সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি গ্রামের পাঠান বাড়ি সংলগ্ন আজম খান মার্কেটের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি এক নলা বন্দুক ও তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ডাকাত ইকবাল পূর্ব ছাড়াইতকান্দি গ্রামের মৃত আবদুর রবের ছেলে।
তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ ১ ডজনেরও অধিক মামলা রয়েছে।
ফেনী গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া সঙ্গীয় ডিবি টিম ও সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ ছাড়াইতকান্দি গ্রামে যৌথ অভিযান চালায়।এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। একপর্যায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ডাকাত সর্দার ইকবাল গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।এ সময় তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি একনলা বন্দুক ও তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে।মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৫ জুলাই রাত ২টার দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. সিএস করিমের ছাড়াইতকান্দি গ্রামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ইকবালের নাম উঠে আসে। গ্রেফতারকৃত চারজন ডাকাত তার নেতৃত্বে ডাকাতি করেছে মর্মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
ইকবালকে গ্রেফতারের জন্য হন্য হয়ে খুঁজতে থাকে পুলিশ। গত ৬ মাস আগে ৪১ মাস সাজা খেটে জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন ইকবাল।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে তিনি ডাকাতদলের সদস্যদের সংগঠিত করে ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করছে।
এর আগে একাধিক ঘটনায় তার বাড়ি থেকে ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করা হয়েছিল। তার পিতাও হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে সম্প্রতি মৃতুবরণ করেন।