সংবাদদাতা :

কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের নুরুল আজিম নামের এক চৌকিদারের বিরুদ্ধে কর্মস্থলে উপস্থিত না থেকে ভাতা উত্তোলনসহ পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গায়েবের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এতে করে পরিষদের কার্যক্রমে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা যায়, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ছবেদ উল্লাহর ছেলে নুুুুরুল আজিম ওই ওয়ার্ডের চৌকিদারের পদটি আঁকড়ে আছে দীর্ঘদিন যাবত। সে ঐপদে থেকে মাসের পর মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছে। পরিষদ কর্তৃক একজন চৌকিদারের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও জনগণকে সেবা দেয়ার যে নির্দেশনা রয়েছে, তার কোন সুফল পাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জনগণ। উল্টো তার হয়রানিতে অতিষ্ঠ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জনসাধারণ।পরিষদবর্গ ও এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা তাকে বারবার সতর্ক করলে, সে উল্টো সরকারের উর্ধ্বতন প্রভাবশালী কর্মকর্তার সাথে তার হাত রয়েছে মর্মে হুমকি দিয়ে চৌকিদার পদটি আঁকড়ে ধরে বিনা দায়িত্বপালনে অবৈধ ভাবে বেতন ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছে নিয়মিত।
সম্প্রতি পরিষদের জন্ম মৃত্যু রেজিস্টার বই থেকে অসংখ্য নাগরিকের তথ্য সম্বলিত পাতা গায়েব হয়ে যায়। এ নিয়ে নাগরিক সেবা দিতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার, সচিব এবং চেয়ারম্যান। সে মমতাজ নামের অপর চৌকিদারকে তার সহযোগী বানিয়ে এসব অপকর্ম করে চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান নুর সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি উণ্থাপিত সব অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পরিষদ সচিব আলতাজের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে জানান, উপরোক্ত অভিযোগ সত্য, তার বিরুদ্ধে পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত কাগজপত্র গায়েব এবং সম্প্রতি সচিবের কক্ষে চুরির ঘটনা ও কাগজপত্র লুটের সাথে সে জড়িত। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উক্ত চৌকিদারের ওয়ার্ডের মেম্বার দিদারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও অকপটে এসব অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে এছাড়াও আরো বহু অভিযোগ রয়েছে। এমনকি সে সরকারের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করে চলছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জনসাধারণ তার বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ তুলছে। এই চৌকিদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নাগরিক সুবিধা ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশ্ললিষ্টরা।
অভিযোগ উঠা চৌকিদার নুরুল আজিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে সব অস্বীকার করে এসব তার বিরুদ্ধে শত্রুতামি বলে দাবি করেন। অন্যদিকে অভিযোগ উঠা ১নং ওয়ার্ডের চৌকিদার মমতাজের সাথে যোগাযোগ করা হলে উপরোক্ত অভিযোগসহ নুুরুল আজিমের সহযোগী বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, চৌকিদার আজিম দুই বছরেরও বেশী সময় ধরে পরিষদে না এসে ভাতা উত্তোলন করছে।