বিশেষ সংবাদদাতা :
রমজান আলী (পিতা মুহাম্মদ হোছন সমিতি পাড়া, কক্সবাজার ) নামের চিহ্নিত এই লোকটি ছিনতাইকারী ও পকেট মার চক্রের নেতা। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে এই চক্রের সদস্যদের হাতে মোবাইল, স্বর্ণের গহনা, নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র খুইয়ে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে শত শত নারী-পুরুষ ।

এরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের লালদীঘির পার, বিলকিস মার্কেট, কোর্ট বিল্ডিং এলাকা, বাজার ঘাটা এলাকা, সিনেমা রোড, কলাতলী গোলচত্বর, সীইন পয়েন্ট লাবনী পয়েন্ট, খুরুস্কুল রাস্তার মাথা ও বাস টার্মিনাল এলাকায় ঘুর ঘুর করে থাকে। সুযোগ বুঝে তারা মানুষের পকেট মারে, মোবাইল, ঘড়ি, মহিলাদের গহনা, নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

বিশেষ করে গ্রামের মানুষ জন যারা বিভিন্ন কাজে শহরে আসেন তাদেরকে ওরা টার্গেট করে বেশী। কারণ তারা প্রতিবাদ এবং অভিযোগ করেন কম।
জানা গেছে, এই চক্রের একাধিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত গ্রুপ বাস টার্মিনাল থেকে চক্রাকারে টমটমে চড়ে সারা শহর ঘুরে আবার বাস টার্মিনালে যায়। টমটমে যাত্রী বেশে উঠে পকেট মেরে খুব দ্রুত সরে পড়ে।

কথায় আছে ‘চোরের দশ দিন গৃহস্তের একদিন’। আজ বিধি বাম! রাত ৮ টার দিকে শহরের লালদীঘির পশ্চিম পাড় এলাকায় পকেট মারতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে যায় দলনেতা এই রমজাইন্যা চোরা। তখন জনগণ তাকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে থানায় সপোর্দ করে।

গত কলাতলী গোলচত্বর হয়ে টমটমে করে লালদিঘীর পাড়ে আসার সময় জাকরিয়া নামের এক কক্সবাজার সরকারী কলে ছাত্রের আইফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এব্যাপার সদর মডেল থানায় রমজাইন্যা চোরার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যার নং ৪৬৪, তাং ৮/৯/২০১৯ ইং।

খবর নিয়ে জানা গেছে, রমজাইন্যা চোরার বিরুদ্ধে থানায় এভাবে একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে।