বিশেষ প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখায় দালালি করতে গিয়ে প্রশাসনের হাতে ধরা পড়েছে চিহ্নিত দালাল খোরশেদ আলমসহ ৫ জন।
তারা হলেন- মহেশখালীর কালামারছড়া ইউনিয়নের আন্দারঘোনা এলাকার মৃত আব্দুস সমদের ছেলে মোঃ আব্দুল নুর, জাগিরাঘোনা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে খোরশেদ আলম, উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের মালভিটা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে আলাউদ্দিন, ভালুকিয়া পালং এলাকার মোঃ কাশেমের ছেলে এসএম দিদারুল আলম, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে আমান উল্লাহ।
পরে তাদের প্রত্যেককে ১ মাস করে সাজা দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৩টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাখন চন্দ্র সূত্র ধর এই সাজা প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাখন চন্দ্র সূত্র ধরের দালাল বিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় চিহ্নিত দালাল হোসেন, বদরুসহ আরও বেশ কয়েকজন কৌশলে পালিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
সরকারের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় একটি সক্রিয় দালাল সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। প্রশাসন এসব দালাল সিন্ডিকেট নির্মুলে এর আগেও অভিযান পরিচালনা করেছিল। অভিযানে বেশকয়েকজন দালালকে সাজা প্রদান করলেও কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় এই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে প্রকৃত জমি মালিকেরা ব্যাপক হারে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। তবে দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে জেলা প্রশাসন।
সূত্র জানায়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রণ শাখায় দালালি থেকে হাতেনাতে ধরা পড়ে দালাল খোরশেদ আলম। একাধিকবার একই অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা ভোগ করেছিলেন। তার সিন্ডিকেটে রয়েছে আরও প্রভাবশালী কয়েকজন। এর আগে চিহ্নিত দালালদের একটি তালিকা করে তা দেওয়ালে টাঙিয়ে দিয়েছিল জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা। ওই তালিকা ধরে অভিযানে বেশ কয়েকজন আটকও হয়েছিল।
মূলতঃ কম পরিশ্রমে অধিক টাকা আয়ের সুযোগ থাকায় দালালিপনায় জড়িয়ে পড়েছে অনেক নামিদামি ব্যক্তিও। সুকৌশলে দালালি কর্ম পরিচালনা করায় এরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। এলএ শাখাকে দালাল মুক্ত করতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।