ডেস্ক নিউজ:
মিয়ানমারকে আরও ৫০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রদূত লুইন উকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এই তালিকা হস্তান্তর করেন মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, অনেক সময় পার হলো। আমরা তাড়াহুড়া করছি। আরও ৫০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা তাদেরকে (মিয়ানমার) দেয়া হলো। এখন পরিবারভিত্তিক তালিকা দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘এবারের তালিকায় মোট ৫০ হাজার ৫০৬ জন রোহিঙ্গার নাম-পরিচয় রয়েছে।’
এই নিয়ে মিয়ানমারের কাছে চার দফায় এক লাখের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা দেয়া হলো। এর আগে তিন দফায় ৫৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা হস্তান্তর করে বাংলাদেশ। যদিও মিয়ানমারের অনীহার কারণে তাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীর গতিতে এগুচ্ছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সম্পূর্ণ তালিকা তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। ধীরে ধীরে পুরো তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, তিন দফায় হস্তান্তর করা ৫৫ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে দুই দফায় ১২ হাজারের মতো রোহিঙ্গার যাচাই-বাছাই করেছে মিয়ানমার। এর মধ্যে ৮ হাজার সাতশ রোহিঙ্গাকে তারা নিজেদের নাগরিক হিসেবে মেনে নিয়েছে। তালিকায় থাকা ৬৮ জনকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলেও মিয়ানমার বাংলাদেশকে জানিয়েছে।
২০১৭ সালে ২৫ আগস্টের পর থেকে নির্যাতনের মুখে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। নতুন পুরাতন মিলিয়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়েছে। প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও তাদেরকে ফেরত নিচ্ছে না মিয়ানমার।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।