আবদুল মালেক,রামু :
রামু উপজেলার আলোচিত কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে ভোটার হতে আসা রোহিঙ্গাসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকৃতরা হল রোহিঙ্গা নাগরিক মনজুর আলম (২৩) ও স্থানীয় বড় জামছড়ি এলাকার হাফেজ আহমদ।
১৫ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার সকালে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নতুন ভোটারদের ছবি তোলার কার্যক্রম আরম্ভ হলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএস আই,ডিজিএফ আই,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের কঠোর সতর্কতার মধ্য দিয়ে নতুন ভোটারদের ছবি তোলার কার্যক্রম চলছিল ।
নতুন ভোটার হতে আসা লোকদের কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করতে গেলে রোহিঙ্গা নাগরিক মনজুর আলম (২৩) এর কাগজপত্রে সন্দেহ হলে তার বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান আরম্ভ হয়।এসময় বড় জামছড়ি এলাকার হাফেজ আহমদ রোহিঙ্গা নাগরিক মনজুর আলমকে নিজের সন্তান বলে পরিচয় দেন এবং তার সত্যতা প্রমাণে কাগজপত্র প্রদর্শন করে।অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে তাদের প্রদর্শিত কাগজ পত্র জাল ও ভূয়া।পরে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ আরম্ভ করলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। অতঃপর তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমার আদালতে সোপর্দ করা হয়।তিনি রোহিঙ্গা নাগরিক মনজুর আলম ও ভূয়া পিতা সেজে ভোটার হতে সহযোগিতা করার দায়ে হাফেজ আহমদকে ২০ দিন করে কারাদণ্ড দেন।এ ঘটনায় ভোটার হতে আসা নতুন ভোটাররা প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভোটার জানান,বর্তমান সরকার রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার হতে না পারে সেজন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে।রামু উপজেলা প্রশাসন শুরু হতে রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে ছিল।তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমাকে প্রশংসায় ভাসান।
এই কঠোরতার জন্য কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তরুণ প্রজন্মের পক্ষ হতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে সাধুবাদ জানানো হয়।এর আগে নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলার সময় অর্থের বিনিময়ে কচ্ছপিয়ায় ভোটার হচ্ছে রোহিঙ্গারা, এই শিরোনামে একাধিক অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।আজ রোহিঙ্গা আটকের মাধ্যমে এ ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।