বলরাম দাশ অনুপম :
সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও উৎসাহ-উদ্দিপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে উদ্যাপন করা হয়েছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। প্রবারণা পূর্ণিমা কেন্দ্র করে রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে শহরের বৌদ্ধ বিহারগুলো বসে নর-নারীদের মিলনমেলা। শুধু বৌদ্ধ সম্প্রদায় নয়, এই মিলনমেলায় সামিল হন সকল সম্প্রদায়ের মানুষ। তাদের সবার কণ্ঠে একটা শব্দ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় হবার। এদিকে সন্ধ্যায় শহরের বেশ কয়েকটি প্রবারণা পূর্নিমার মন্ডপ পরিদর্শন করেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। প্রবারণার মন্ডপ পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কার্যকরী সভাপতি এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু, মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রীতি পরিষদের সদস্য সচিব সুরেশ বড়ুয়া বাঙ্গালী, সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক বলরাম দাশ অনুপম, প্যাগোডা ভিত্তিক প্রাক:প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্পের ফিল্ড সুপারভাইজার তপন সমাদ্দার, ক্য ক্য রাখাইন, মংথেনহ্লা প্রমুখ। এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন-বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক মিলন ক্ষেত্র। যেখানে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ উৎসাহ-উদ্দিপনা নিয়ে স্ব স্ব ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানাদি পালন করে আসছে যুগ যুগ ধরে। আর এই প্রবারণা পূর্ণিমার মধ্যে দিয়ে সম্প্রীতির বন্ধন আরো একধাপ এগিয়ে গেল। উল্লেখ্য-শহরের বাজারঘাটাস্থ জাদিরাং ক্যাং ও চেন্দামেজু ক্যাং-এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত মন্দির সংস্কার প্রকল্প থেকে বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাস দেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ।