অনলাইন ডেস্ক : কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেই কাশ্মীরে গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার শ্রীনগরে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের চালানো গ্রেনেড হামলায় অন্তত সাত জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, শ্রীনগরের লাল চক থেকে কয়েকশ মিটার দূরে হরি সিং হাই স্ট্রিট মার্কেটে ওই হামলা হয়। বাজারের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও কয়েকজন বিক্রেতা সেখানে কয়েকটি অস্থায়ী দোকান বসিয়ে প্রয়োজনীয় নানা সামগ্রী বিক্রি করছিলেন। এরমধ্যেই আকস্মিক গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরপরই কাশ্মীর জোন পুলিশ টুইট করে জানায় যে ওই অঞ্চলটি ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফ চিরুণী অভিযান চালাচ্ছে।

গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকেই থমথমে অবস্থা গোটা উপত্যকার। জম্মু-কাশ্মীরকে একরকম অবরুদ্ধ অবস্থায় রেখেছে মোদি সরকার। তবে দুই মাসেরও বেশি সময় পর পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে এসেছে মনে করে শনিবার সরকার ঘোষণা করে যে আগামী সোমবার থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে পোস্টপেইড মোবাইল সংযোগগুলো ফের চালু করা হবে।

জম্মু-কাশ্মীরের অবরুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই গত ৫ অক্টোবরও দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। জেলা কালেক্টরের কার্যালয়ের বাইরে হওয়া ওই হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন আহত হন।