মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) প্রশাসন ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কক্সবাজারের গর্ব যুগ্মসচিব শফিউল আজিম। গত বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে বিসিএস (প্রশাসন) ১৫ তম ব্যাচের এক সাধারণ সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে ২১ সদস্য বিশিষ্ট এ নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
নতুন গঠিত কমিটিতে কক্সবাজারের কৃতিসন্তান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (বিধি, সেবা ও আইন) শফিউল আজিম সভাপতি ও বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্মসচিব নাজমুস সাদাত সেলিম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের পঞ্চদশ ব্যচের মোট সদস্য রয়েছেন ১০৫ জন। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় ৭০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র সিবিএন-কে জানিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ
কক্সবাজারের কৃতি সন্তান, কক্সবাজার পৌরসভার পূর্ব টেকপাড়ার মরহুম ডাঃ আজিম উদ্দিন আহমেদ ও সালেহা আজিমের সন্তান শফিউল আজিম ১৯৬৭ সালের ১৮ নভেম্বর কক্সবাজার শহরের পূর্ব টেকপাড়ায় এক ঐতিহ্যবাহী বুনিয়াদি পরিবারে জম্মগ্রহন করেন। ৭ ভাই, ৭ বোনের মধ্যে শফিউল আজিম ভাইদের মাঝে ষষ্ঠ। কক্সবাজারের গর্বের ধন মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব শফিউল আজিম ১৯৮৫ সালে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে প্রথম বিভাগে এসএসসি, ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ হতে কৃতিত্বের সাথে এইসএসসি এবং প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৯৪ সালে আইন বিষয়ে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেন কৃতিত্বের সাথে। এরপর ১৯৯৫ সালে শফিউল আজিম ১৫ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে দেশের সবচেয়ে বুনিয়াদি ও সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী ক্যাডার হিসাবে পরিচিত বিসিএস (প্রশাসন) এর সরকারি চাকুরীতে যোগ দেন। চাকুরীজীবনের শুরুতে তিনি সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিয়োগ পান। অত্যন্ত মেধাবী ও চৌকষ কর্মকর্তা শফিউল আজিম কুমিল্লা জেলা প্রশাসনে সহকারী সচিব ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে ৪ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব), তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী ও গীতি আরা সাফিয়ার একান্ত সচিব (উপসচিব), সাবেক আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদের একান্ত সচিব (উপসচিব) হিসাবে দীর্ঘ ৫ বছর দক্ষতা ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। শফিউল আজিম সাভারে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনষ্ঠিটিউটের উপ পরিচালক ছিলেন। এরপর তিনি কাতারের দোহায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ও ব্রুনাই এর দারুস সালামে বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সিলর হিসাবে দু’টি দেশে দায়িত্ব পালন করে রাষ্ট্র ও উভয় দেশের প্রবাসীদের কাছে প্রশংসিত হন। শফিউল আজিম উপসচিব হিসাবে সর্বশেষ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
সরকারের যুগ্মসচিব হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে শফিউল আজিম মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (বিধি, সেবা ও আইন) হিসাবে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর যোগদান করে অধ্যাবদি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন সুনামের সাথে। একজন গতিশীল ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসাবে শফিউল আজিমের সুনাম রয়েছে জনপ্রশাসনের সর্বত্র। শফিউল আজিম জনপ্রশাসন বিষয়ে বিদেশী মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ও একই বিষয়ে বিদেশ থেকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অনেকবার।
কক্সবাজারবাসীর গৌরব শফিউল আজিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন বিষয়ে অনার্স মাষ্টার্স করা আয়েশা আলী’কে ১৯৯৭ সালে জীবনসঙ্গিনী হিসাবে বেচে নেন। আয়েশা আলী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। শফিউল আজিম-এডভোকেট আয়েশা আলী দম্পতি নাহরীন তাজরী নামক একমাত্র কন্যা সন্তানের গর্বিত জনক ও জননী। নাহরীন তাজরী লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ-এর এলএলবি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
অভিনন্দনঃ
নির্লোভ, নিরহংকার, অত্যন্ত অমায়িক শফিউল আজিম বিসিএস (প্রশাসন) ১৫ তম ব্যাচের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় কক্সবাজার টেকপাড়া সোসাইটির উপদেষ্টা, আবদুল খালেক, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ, সভাপতি মোহাম্মদ জাহেদ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আশিকুজ্জামান, সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাবেদ উল্লাহ মিয়া শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক অভিনন্দন বার্তায় টেকপাড়া সোসাইটির নেতৃবৃন্দ ঐতিহ্যবাহী বুনিয়াদি এলাকা টেকপাড়ার কৃতিসন্তান শফিউল আজিম বিসিএস (প্রশাসন) ১৫ তম ব্যাচের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে শুধু টেকপাড়াবাসীর নয়, পুরো কক্সবাজার জেলাবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন। নেতৃবৃন্দ শফিউল আজিমের উত্তরোত্তর সফলতা ও কল্যাণ কামনা করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।