শাহীন মাহমুদ রাসেল :
হঠাৎ করে কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে কিশোর গ্যাং আতংক দেখা দিয়েছে। পিএমখালী ইউনিয়নের বাংলাবাজার, ছনখোলা, ছেরাংঘর, তোতকখালী ও ডিকপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এই গ্যাং কিশোরদের দেখা যাচ্ছে। তাদের গ্রুপে ১০-১২ জন কিশোর পৃথক পৃথকভাবে রয়েছে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
তারা দিনে ও রাতে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। চুরি, ছিনতাই, পকেটমার হিসেবে গ্যাং কিশোররা জড়িত সরাসরি। ডাকপাড়া এলাকায় একজনকে বেঁধে মারধরের খবরটি ছড়িয়ে পড়লে কিশোর গ্যাং এর বিষয়টি প্রকাশ হয়। অভিযোগ ওঠেছে, কিশোর গ্যাং এর বেশির ভাগ যুবক বখাটে ও বিভিন্ন দলের কর্মী। যেখানে রয়েছে সরকারি দল, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের কর্মী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার ও ডিকপাড়ার বিভিন্ন মহল্লায় কিশোর গ্যাং আতংক বিরাজ করছে। তাদের হাতে এলাকার ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ,বি এম মাসুদ হোসেনকে বিষয়টি স্থানীয়রা নজরে দিয়েছেন।
মোহসিনিয়া পাড়া, নয়াপাড়া, পাতলী, গোলার পাড়া, নুর মাহাম্মদ চৌধুরী বাজার, মাছুয়া খালী, কাঠালিমুড়া, মাইজ পাড়া এলাকাসহ বাংলা বাজারের বিভিন্ন পাশে কিশোর গ্যাংদের নিয়মিত চোখে পড়ে। এসব গ্যাং এর কাছে নাম্বারবিহীন কয়েকটি মোটরসাইকেলও রয়েছে। মোটরসাইকেলের বিকট শব্দে পুরো এলাকার লোকজন যেন আতংকিত। তাছাড়া সদরের পৌর এলাকাসহ ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামেও কিশোর গ্যাং ছড়িয়ে পড়ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কিশোর গ্যাং এর অনেকে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। সম্প্রতি কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে একটি গ্রুপ বিভিন্ন এলাকায় শোডাউন করেছে। পুলিশ সুপার বিষয়টি জানতে পেরে ডিবি পুলিশের একটি টিমকে কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
শহরের একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, সম্প্রতি কিশোর গ্যাং গ্রুপ কক্সবাজার পৌরসভা ছাড়িয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পৌছে গেছে। তারা ব্যবহার করছে নাম্বারবিহীন মোটরসাইকেলও। এদের ভয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছে না। শীঘ্রই তা বন্ধ করা না গেলে সাধারন মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।