ডেস্ক নিউজ:
বুয়েটে ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে নির্মম নির্যাতনে আবরারের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপর এক নেতার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকির পরই আটক করা হয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতাকে।
আটকরা হলেন হাসিবুর রহমান তুষার ও আবু বকর আলিফ। হাসিবুর রহমান তুষার হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক এবং আবু বকর আলিফ হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-অর্থ সম্পাদক ছিলেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রবৃত্তিবিষয়ক সম্পাদ মো. রিয়াজ ফরাজির মাথায় অস্ত্র ঠেকানোর পরই ওই দুই নেতাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসিবুর রহমান তুষার ছাত্রলীগের মুহসীন হলের সাবেক ছাত্রবৃত্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. রিয়াজ ফরাজিকে ডেকে মাথায় পিস্তল ধরেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি জানতে পেরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে হলে গিয়ে তাদের অস্ত্রসহ আটক করে। আটকের পরই মুহসীন হলের ১২১ নম্বর কক্ষটি সিলগালা করা হয়। ওই রুমে থাকতেন তুষার। তুষারের কাছ থেকে ইয়াবা ও কক্ষ থেকে লাঠিসোটা জব্দ করা হয়েছে।
আটকদের শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
হলের একটি সূত্র জানায়, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী আটকদের মূল হোতা। ক্যাম্পাসে তাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্য পেয়ে প্রক্টরিয়াল টিম হল প্রশাসনকে নিয়ে অভিযান চালায়। দুজনকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।
তথ্য পেলে সব হলে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।