মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজারের টেকনাফে দিন দুপুরে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গা পাহাড়ি ডাকাতদের গোলাগুলিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠে ক্যাম্প ও সাধারণ এলাকা। দায়িত্ব পালনরত পুলিশকে লক্ষ্য করে ছুঁড়া গুলিতে চরম আতংকিত হয়ে পড়ে স্থানীয় জনসাধারণ ও রোহিঙ্গা শরনার্থীরা।
মঙ্গলবার ৮ অক্টোবর বেলা ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার জাদিমুড়া শালবাগান নছিরউল জামান নামক জায়গায় ডাকাতদের ধাওয়া করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি জায়গায় শীর্ষ ডাকাত জহির ও সেলিমের গ্রুপের সদস্যদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল তাদের ধরার জন্য চেষ্টা করে। তখন সশস্ত্র ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে মুর্হু মূর্হু গুলি ছুড়ে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি গভীর অরণ্যে ঢুকে পড়ে।
পুলিশের উক্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, সোমবার গভীর রাতে ওই ক্যাম্পের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শীর্ষ সন্ত্রাসী জহির ও সেলিমের গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলি ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। সেখানকার লোকজন জানিয়েছিল-শীর্ষ ডাকাত মোহাম্মদ সেলিমকে গুলি করে হত্যা করে লাশ পাহাড়ে গুম করা হয়েছে। লাশ না পওয়া পর্যন্ত, সেই বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।