মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ১৪ অক্টোবর। এর মধ্যে সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্ঘুম প্রচারণায় মেম্বারদের পাশাপাশি কোমর বেঁধে নেমেছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতিকের তসলিম ইকবাল চৌধুরী ও আনারস প্রতিকের নুরুল আবছার ইমন।
তারা নিজ নিজ কর্মী সমর্থকদের নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন গ্রামের পর গ্রাম। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ২ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী দলীয় নেতা,মুরুব্বী ও সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে অবিশ্রাম প্রচারণা চালাচ্ছেন।
অপর জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রবীন আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আবদু রহমানের সুযোগ্য সন্তান নুরুল আবছার ইমন। তিনি লড়ছেন আনারস প্রতীক নিয়ে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র মতে,এ ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৯টি। ভোটারের সংখ্যা ১১ হাজার ১২৩ ভোট । পুরুষ ভোটার ৫৬৫৬ ও মহিলা ভোটার ৫৪৬৭ টি। প্রার্থীদের মধ্যে তসলিম ইকবাল ও নুরুল আবছার দুই জনই প্রার্থী হয়েছেন ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে।
স্থানীয় সূত্র গুলো জানান, এবারের সদর ইউপিতে নির্বাচন হবে দ্বিমুখী। দু’প্রার্থী ধনে-মানে প্রায় সমান সমান। বর্তমান জনপ্রিয়তায়ও কেউ কারও চেয়ে কম নয়। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান হিসাবে তসলিমের পরিচিতি একটু বেশি কারণ তিনি দীর্ঘদিন রাজনৈতিকদলের সাথে সম্পৃক্ত এবং আওয়ামী ঘরনার প্রার্থী হিসাবে তিনি ভোটের মাঠে এগিয়ে রয়েছে।
জানা যায়, এ ইউনিয়নে তৎকালীন চেয়ারম্যান হাজ্বী আবু ছৈয়দ মারা যাওয়ার পর বাকি দুই বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন ঘোষণা করেন সদর ইউনিয়ন পরিষদের। এ উপনির্বাচনে নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নুরুল আলম কোম্পানীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছিলেন তসলিম।
সূত্র আরো জানা যায়, নির্বাচনী মাঠে তসলিম একজন পাকা খেলোয়াড়। তাই নবাগত নুরুল আবছার কৌশলে এ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তার পিতা, ভাই ও আত্মীয় স্বজনরা তাকে জয় করতে রাতদিন প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল আবছার মনে করেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছে সে হিসাবে কৌশলে সবকিছু মাথায় রেখে র্নিঘুম রাত কাটিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। তিনি নিজে সৎ চরিত্রের অধিকারী দাবী করে বিজয়ী হলে দল-মত,ধর্ম-বর্ণ,ধনী-গরীব ও নারী পুরুষ-সকলকে সাথে নিয়ে তার ভবিষ্যৎ পরিষদ চালাতে আগ্রহী।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী তসলিম ইকবাল চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি যার সম্মান তাকে দিয়ে যে কোন সমস্যা সমাধানে কাজ করবেন। মানুষের মনে আঘাত পায় এমন কোন আচরণ তিনি করবেন না। নারী,শিশু,অভাবী ও বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেবেন। তিনি আশা করছেন,সব মিলিয়ে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে আবারো ইনশাআল্লাহ্ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।