মহেশখালী প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার জে এম ঘাট বিটের অধিনে চরণদ্বীপ রেঞ্জ এর গোলদিয়ার চরে বন বিভাগের অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান বন বিভাগের জমি উদ্ধার করেছে। কেটে দেওয়া হয়েছে অবৈধ ভাবে তৈরীকরা চিংড়ি প্রজেক্ট।চরণ দ্বীপ মৌজার বিপুল পরিমান সরকারি জায়গা অপদখল হতে সফল অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে।

৫ই অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চরণদ্বীপ রেঞ্জের জে এম ঘাট বিট,গোরকঘাটা রেঞ্জ,
মহেশখালী রেঞ্জ এবং বিশেষ টহল বাহীনির যৌথ অভিযান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা,উপকূলীয় বন বিভাগের নির্দেশে চরণদ্বীপ রেঞ্জ এর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃহাবিবুল হক এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হক জানান চকরিয়া উপজেলার বড় ভেওলাবানির চর এলাকার নুরুল কাদের এবং পালাকাটা এলাকার জামাল চৌধুরীসহ আরো বেশ কয়েকজন যোগসাজেসে বন বিভাগের জমিতে প্যারাবন কেটে চিংড়ি প্রজেক্ট তৈরী করে ওখানে বাঁধের উপর ৩টি থাকার টিনের ঘর তৈরী করে এবং বাঁধের উপর প্রায় ১৫/২০টির মতো ফলপুট বসিয়ে নদী হতে জোয়ার-ভাটার সময় পানি যাতায়তের ব্যবস্থা করে অবৈধ চিংড়ি প্রজেক্ট তৈরিকরে।

খবর পেয়ে চরণদ্বীপ রেঞ্জ কর্মকর্তা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের খবর পেয়ে অপদখলকারী দলের সদস্যেরা পালিয়ে যায়। অভিযান চালিয়ে ৩টি ঘর এবং সবকটি ফলপুট এবং বাঁধ কেটে চিংড়ি প্রজেক্ট ধবংস করে দেওয়া হয়। ভেঙ্গে দেওয়া ৩টি ঘরের মালামাল জব্ধ করে রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়।

অপদখলকারীদের বিভিন্ন হুমকি ধমকি কে পাত্তা না দিয়ে ইষ্পাত পাথর মন নিয়ে সরকারি সম্পদ রক্ষার মহান ব্রত নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো অভিযান পরিচালনা করে চরণদ্বীপের গোলদিয়ার চরের
সরকারী সম্পদ উদ্ধার করা হয়।

রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হক এর সফল অভিযান এর খবর পেয়ে অপদখলকারীদের ধিক্কার জানাতে দেখাগেছে উপকূল এলাকার জনসাধারণ।

রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হক এ প্রতিবেদক কে জানান- আমি হাবিবুল হক সরকারের সম্পদ পাহারাদার,যে কেউ সরকারী জমিতে অবৈধ ভাবে চিংড়ি প্রজেক্ট করে অপদখলেনিবে সরকারী সম্পদ, তা কোন ভাবেই হতে দেওয়া যায় না।
অপদখলকারী লোকদের চিহ্নিত করে বিহিত ব্যবস্থা নিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে অবহিত করা হয়েছে।