যুগান্তর : সম্প্রতি রাজনীতির মাঠ দাবড়ে বেড়াচ্ছে পেঁয়াজ। বেশ কয়েকদিন ধরে ১০০ টাকার নিচে নামছেই না পেঁয়াজের দাম। এতে নাভিশ্বাস হওয়ার উপক্রম দেশবাসীর।
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে বলে বাজার দরে একলাফে এমন ঝাঁঝ বেড়েছে পেয়াজের। এমনটাই মন্তব্য করে আসছেন ব্যবসায়ীরা।
এমন পরিস্থিতিতে ফের ভারত থেকে পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হলেও বেলা ১২টা ২০মিনিট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে আসা শুরু হয়েছে।
ভারতের হিলি এক্সপোর্টার অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সনজিৎ মজুমদার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তবে এ খবরে তেমন একটা খুশি হতে পারছেন না হিলি স্থলবন্দরের বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের অনেকের দাবি, ভারতের হিলিতে ৫ দিন আটকে ছিল বস্তাবন্দী এসব পেঁয়াজ। এদের অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে বা পচে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মন্তব্য করেন তারা।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মোর্শেদুর রহমান জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত। এ অবস্থায় সীমান্তের ওপারে প্রায় ৬০টি ট্রাকে দেড় হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আটকে থাকে। অবশেষে ৫দিন পর পূর্বের এলসি করা পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও ট্রাকে বাঁধা অবস্থায় থাকা এসব পেঁয়াজের অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে বলে ধারণা করছি আমরা। হিলি স্থল বন্দরের কর্মকর্তারাও একই বার্তা জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, পূর্বের এলসি করা পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক আটকে ছিল ভারত সীমান্তে। অবশেষে রফতানি করার অনুমতি দিয়েছে সে দেশের সরকার।
এর আগে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছিল, এই বন্দর দিয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকে প্রায় ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। কিন্তু গত রোববার বিকালে হঠাৎ করে এক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষসহ রফতানিকারকদের বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি না করার জন্য আদেশ জারি করে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার।
সেদিন থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের মুখে ভারতের হিলিতে আটকে পড়ে পেঁয়াজবাহী শতাধিক ট্রাক।
এসব ট্রাকই আজ ছাড়ার নির্দেশ দেয় ভারত সরকার।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন জানিয়েছিলেন, দুই দেশের মধ্যে আলোচনাসাপেক্ষে শারদীয় দুর্গোৎসবের বন্ধ সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু ছিল। বৃহস্পতিবার এ সব পেঁয়াজবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও তা প্রবেশ করেনি।
তবে শুক্রবার আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় এ সব পেঁয়াজবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।