মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম চলছিলো। সেখানে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে এসে ৩ জন রোহিঙ্গাকে জেলে যেতে হলো। বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর বিকেল ৫ টায় এঘটনা ঘটে। বিষয়টি উখিয়ার ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন।

উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য সংগৃহীত তথ্য যাচাই বাচাই করার নির্ধারিত দিন ছিল বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর। জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে যাচাই বাচাইও যথারীতি চলছিলো। এ সময় বিকালে ছবি তুলতে আসা উক্ত ইউনিয়নের ভূঁয়া নাগরিক ডেইলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাঁজা আবদুল হামিদ (৩২), নুর হোসেন (২৮) ও মুর্শিদা আকতার (২৫) কে সন্দেহ হলে উখিয়া নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. ইসা ও মো. সোহেল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় তারা রোহিঙ্গা বলে নিজেরা স্বীকার করে। এরপর ৩ জন রোহিঙ্গাকে বুথ থেকে পুলিশের মাধ্যমে আটক করা হয়। পরে উখিয়া উপজেলার স্বনামধন্য ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান কে বিষয়টি জানালে তিনি তাৎক্ষণিক গিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা ৩ জনের প্রত্যেককে ১ মাস করে কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান সিবিএন-কে জানান, অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি যাতে না হয়, সেজন্য সমগ্র উখিয়া উপজেলায় এরকম মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো জানান, যে ৩ জন রোহিঙ্গা কৌশলে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে গিয়ে জেলে গেছে, তারা আগে আসা পুরাতন রোহিঙ্গা। তবে বিস্ময়কর বিষয় হলো-এরা তাদের পিতাকে মৃত দেখিয়ে এবং নিজেদের নামে জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পিতার কথিত মৃত্যু সনদ ও নাগরিকত্ব সনদ সংগ্রহ করেছে। কিভাবে রোহিঙ্গা হয়ে মৃত্যু সনদ ও নাগরিকত্ব সনদ রোহিঙ্গারা সংগ্রহ করলো তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান সিবিএন-এর কাছে মন্তব্য করেছেন। রোহিঙ্গাদের নামে ইস্যুকৃত মৃত্যু ও জন্ম নিবন্ধন সনদ বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয়া হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান।

এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. বেদারুল ইসলাম সিবিএন-কে জানান, কোন অবস্থাতেই রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে দেবেনা প্রশাসন। এজন্য কেউ চল-চাতুরী করলে ভোটার হতে অপচেষ্টা করলেও আইনের হাত থেকে তারা রেহাই পাবেনা।