মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মুরাপড়া গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান। তার মেয়ে উম্মে হাবিবা সুমাইয়া। বয়স-১৩ বছর। কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী। লেখাপড়া ভালোই চলছিলো। ক্লাসের ফলাফলও ভালো করছিলো।
হঠাৎ বিয়ের প্রস্তাব আসলে পরিবারের লোকজন উম্মে হাবিবা সুমাইয়া’র কোন সম্মতি ছাড়া বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। ভাবী বর হলো রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের রুবেল। জাল জন্মসনদ বানিয়ে স্থানীয় কাজীর কাছেও যান তারা। কিন্তু কাজী জাল জন্ম সনদ দেখে সন্দেহ হওয়ায় বিয়ে পড়াতে রাজি হননি।
কিন্তু বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর সকালে উম্মে হাবিবা সুমাইয়া’র ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরিবারের সদস্যরা রুবেলের সাথে তাকে বিয়ে পড়িয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠে। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে উম্মে হাবিবা সুমাইয়া একইদিন সকাল ১১ টার দিকে ১০৯ নম্বরে কল করে ঘটনা ও তার অসহায়ত্বের কথা রামু উপজেলার স্বনামধন্য ইউএনও প্রণয় চাকমা’কে জানান। ইউএনও তখন গুরুত্বপূর্ণ একটি অফিসিয়াল মিটিং থাকায় তিনি তাৎক্ষণিক রামু উপজেলা প্রশাসনের লোকজন পাঠিয়ে বাল্য বিয়েটি বন্ধ রাখেন। এরপর পরই তড়িঘড়ি করে মিটিং শেষ করে পুলিশ ফোর্স, উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার জুয়েল ভূইয়া, উপজেলা প্রশাসনের স্টাফ সহ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ইউএনও প্রণয় চাকমা। সেখানে গিয়ে বাল্য বিয়েটি তিনি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেন। পরে উভয় পক্ষের অভিভাবকদের কাছ থেকে মুছলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে রশিদনগর ৫ ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ ফারুকও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টা বিস্তারিত সিবিএন-কে জানিয়েছেন রামু উপজেলার ইউএনও প্রণয় চাকমা।