বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজারের কলাতলী চন্দ্রিমা এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্লট দখল করেছে ভূমিদস্যু চক্র। প্লট দখলে ভুল তথ্য দিয়ে পুলিশকে ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, কলাতলীর চন্দ্রিমা সমিতির ৭৩ নং প্লটটির মালিক বেগম রেহনুমা আলম। বেশ কিছুদিন আগে ওই প্লটটি দখলে চক্রান্ত শুরু করে ভূমিদস্যু চক্র মইন উদ্দিন গং। মইন উদ্দিন একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু। তার ভূমিদস্যু চক্রে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীও জড়িত রয়েছে।
মইন উদ্দিন গং কর্তৃক প্লটটি দখলের অপতৎপরতা শুরু হওয়ায় আদালতের শরণাপন্ন হয়। পরে কক্সবাজার সিনিয়র সহকারী জজ আদালত গত জুন মাসে উভয়পক্ষের উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়। এছাড়াও জুন মাসে প্লটের মালিক রেহনুমা আলম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিল।
এদিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্লটটি দখলে অপতৎপরতা অব্যাহত রাখে ভূমিদস্যু চক্র। সর্বশেষ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্লটটি পুরোপুরি দখলে নেয় মইন উদ্দিন গং। রোববার সকাল ৯টার দিকে পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় মইন উদ্দিন গং। ওই সময় পুলিশের সহায়তায় ওই প্লটের ভাড়া বাড়িতে থাকা ১৬ জন ব্যক্তিকে মারধর করে বের করে দেয় তারা। এসময় নারী ও শিশুদের মারধরও করা হয়। পরে প্লটের গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেয় চক্রটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের সামনে সেখানে থাকা প্রায় ১৬ জন ভাড়াটে লোকজনকে বের করে দেয় ভূমিদস্যু চক্র। এসময় তাদেরকে মারধর করে। পুলিশ ২ জন ভাড়াটিয়াকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবারও তাদের উপর হামলা চালায় চক্রটি। এসময় বাড়ি থেকে প্রায় ১ লাখ টাকার মালামাল লুট করে ভূমিদস্যু চক্র।
রহিমা খাতুন ওই প্লটের বাড়িতে ভাটা থাকেন ৭ মাস ধরে। স্বামী পরিত্যক্ত রহিমার জীবন চলে মানুষের বাড়িতে কাজ করে। ভূমিদস্যুরা রহিমা খাতুন ও তার সন্তানদেরও মারধর করে। তিনি জানান, ‘আমি সন্তানদের নিয়ে ৭ মাস ধরে এখানে বসবাস করে আসছি। হঠাৎ কিছু লোক এসে আমাদেরকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আমাদের কোন জিনিসপত্র বের করতে দেয়নি তারা। এখন আমরা কোথায় যাবো?’
ওই প্লটের আরেকটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন এক মহিলা। তার ৬ মাস বয়সী এক শিশু রয়েছে। ওই মহিলাকে মারধর করার সময় শিশুটির গায়েও হাত তুলেছে পাষাÐ ভূমিদস্যুরা। কিন্তু ওই সময় পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
প্লটের মালিক বেগম রেহনুমা আলম জানান, তার প্লটে সেমিপাকা বাড়িতে কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকতো। ভূমিদস্যুরা তাদেরকে মারধর করে বের করে দিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো মিসগাইড হয়ে পুলিশ ভূমিদুস্য মইন উদ্দিন গংকে সহযোগিতা করেছে। তিনি প্লট উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।