অনলাইন ডেস্ক:

পশ্চিম তীরের জর্ডান উপত্যকা দখলের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ ঘোষণার পর বুধবার জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে ইসলামি সহযোগিতা সংগঠন (ওআইসি)।

আনাদুলু এজেন্সি জানায়, সৌদি আরবের জেদ্দায় ৫৭টি মুসলিম দেশ নিয়ে গঠিত সংস্থাটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।

গত মঙ্গলবার এক নির্বাচনী জনসভায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে নেতানিয়াহু জানান, ১৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইসরায়েলের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হলে তার সরকার উত্তর মৃত সাগর (ডেড সি) ও জর্ডান উপত্যকা দখল ছাড়াও পশ্চিম তীরের সব এলাকায় ইহুদি বসতি স্থাপন নিশ্চিত করবে।

ফিলিস্তিনের ওই অঞ্চলগুলোতে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব চাপিয়ে দেওয়ার নেতানিয়াহুর এই অভিপ্রায়ের নিন্দা করেন ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসুফ আল উসাইমিন।

তিনি বলেন, “এই বিপজ্জনক ঘোষণা ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকারের বিরুদ্ধে আরেকটি আগ্রাসন।”

উসাইমিন জানান, ফিলিস্তিন ইস্যুটি সব সময়ই ওআইসির অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। জরুরি বৈঠকের ইসরায়েলের নতুন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য রাজনৈতিক ও আইনি ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে জর্ডান উপত্যকার অধিকাংশ অঞ্চল ইসরায়েলের সামরিক ও প্রশাসনিক দখলে চলে যায়। ইসরায়েল ওই যুদ্ধে জয়ী হয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত জর্ডান উপত্যকায় ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি এবং ১১ হাজার অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীর বসবাস। এখানকার কৃষি, ফসল উৎপাদন, বাজার ব্যবস্থা ও রপ্তানি সবই ইসরায়েলিদের নিয়ন্ত্রণে। সবদিক দিয়ে তারাই অধিক সুবিধা ভোগ করে।

পশ্চিম তীরের উর্বর কিন্তু অনুন্নত এক চতুর্থাংশ বিস্তৃত এই এলাকাকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখা হয়। তবে ইসরায়েল বলছে, নিরাপত্তার কারণে তারা এই উপত্যকা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকে ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হয়, যদিও ইসরায়েল তা অস্বীকার করে আসছে।