ইমাম খাইর, সিবিএন
তথ্য গোপন করে বাংলাদেশের ভোটার হয়েছে এমন পাঁচ রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করেছে কক্সবাজার নির্বাচন অফিস।
তারা হলো- কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাহাড়তলীর বাসিন্দা মৃত লাল মিয়ার ছেলে ফয়েজ উল্লাহ (৩৯), ফয়েজ উল্লাহর স্ত্রী মাহমুদা খাতুন (৩৭), ১ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়াপাড়ার (নাজিরারটেক) বাসিন্দা মোঃ আইয়ুবের স্ত্রী নুরতাজ (৪১), সদরের পিএমখালী ৪ নং ওয়ার্ডের জুমছড়ির বাসিন্দা মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মোহাম্মদ নোমান (৪১), সদরের ঝিলংজা ৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কোনারপাড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে এহসান উল্লাহ (১৯)।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের মধ্য থেকে ফয়েজ উল্লাহকে আটক করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা মাহবুব আলম।
তিনি জানান, আটক রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো: ফরিদ উদ্দিন খন্দকার আটক রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রেকর্ড হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার শিমুল শর্মা কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্দেশনার আলোকে রোহিঙ্গা নাগরিক ভোটার হওয়ার বিষয়ে সরেজমিন তদন্তকালে ৫ জন রোহিঙ্গার বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। যার নম্বর যথাক্রমে -১৯৮০২২২২৪০৭০০০০২২, ১৯৯৮২২২২৪০৭০০০০২৩, ২০০১২২১২৪৪৭০০০০০১, ১৯৭৮২২২২৪০১০০০০১০, ১৯৭৮২২১২৪৭১০০০০২৩ অনলাইনে যাচাই করে দেখা যায় তারা ২০১৯ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তালিকাভুক্ত হন।
শিমুল শর্মা জানান, রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন ল্যাপটপ আইডি নং যথাক্রমে -০৩৫১-০০০০ এবং ৯৩১৮-০০০০, যা সদর উপজেলার ল্যাপটপ আইডির সাথে মিল নেই। তাছাড়া তাদের ভোটার আবেদন ফরমের সাথে উপজেলা থেকে সরবরাহকৃত ফরমের অমিল।
এসব বিষয় যাচাই-বাছাই করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ৫ জন রোহিঙ্গার মধ্য থেকে ১জনকে আটক করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার জানান, রোহিঙ্গা ফয়েজ উল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বীকার করেছে, ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি চট্টগ্রামে গিয়ে ভোটার হওয়ার জন্য ছবি তোলেন।
এদিকে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধির সহায়তায় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জাতীয়তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে।
তাছাড়া ভোটার হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহে নিয়োজিত কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও এসব জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। অসাধু কিছু লোকের কারণে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র পৌঁছে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের হাতে। যা দেশদ্রোহিতার শামিল বলে মনে করছে বিজ্ঞজনেরা।

আরো দেখুন-

জনপ্রতিনিধির সহায়তায় রোহিঙ্গা ভোটার, নেয়া হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা