নিজস্ব প্রতিবেদক:
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে মানে শিষ্টাচার, গণতন্ত্র, রাজনীতি, মানবাধিকার সবকিছুই এখন কারাবন্দি। এই জন্য বাংলাদেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা এখন নেই। তাই পুরো বাংলাদেশই এখন কারাগারে পরিণত হয়েছে। এই অচল অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’

শনিবার দুপুরে মহেশখালী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মহেশখালী উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক আবু বকর ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম-আহŸায়ক আমিনুল হক চৌধুরীর ও সাবেক ছাত্রনেতা আকতার হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে শাহজাহান চৌধুরী আরো বলেন, দেশে অন্যায়, দুর্নীতি, লুটপাট ও অবিচার চলছে। এসবের বিরুদ্ধে পুরো জাতিকে জেগে উঠতে হবে। এসব দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

সাবেক সংসদ এই সংসদ সদস্য বলেন, পুরো বিশ্ব এখন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে সরে আসছে। কারণ কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প মারাত্মক পরিবেশ বিধ্বংসী। এই কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পুরো মহেশখালীসহ আশেপাশের উপজেলাগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। তখন বিপুল জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যূত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করবে। আমাদের প্রশ্ন- যে উন্নয়ন প্রকল্প মানুষ মারবে সে প্রকল্প কাদের স্বাথের্, জনগণ তা জানতে চায়।’


উক্ত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এটিএম নূরুল বশর চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক পিপিএড. শামীম আরা স্বপ্না। সম্মেলনের অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এড. নূরুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মোবারক হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী, সহ-সাংগঠনিক ও জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম. মোকতার আহমদ ও আতাউল্লাহ বোখারী, উপজেলা বিএনপি উপদেষ্টা আবু তাহের চৌধুরী ও ডা. আবদুল মোতালেব, জেলা যুবদলের সভাপতি সৈয়দ আহমদ উজ্জল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাদত হোসেন রিপন, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুর রহমান ফাহিম, উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রিয়াদ মোহাম্মদ আরাফাত, কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এখলাছুর রহমান, ধলঘাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরওয়ার আলম শাহীন, হোয়ানক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল করিম মেম্বার, কুতুবজোম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ শফি মেম্বার, মাতারবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস্তেফাজুর রহমান, বড়মহেশখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছাবের হোসেন, শাপলাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন।

পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে এই বর্ণিল সম্মেলন শুরু হয়। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। সংসদ সংস্য মোঃ রশিদ বিএসহ মহেশখালীর প্রয়াত সকল বিএনপি নেতাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সম্মেলনে সমবেত হয় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। নেতাকর্মীদের পদভারে সম্মেলনস্থল কানায় কানায় ভরে উঠে। সম্মেলনকে ঘিরে ভেন্যুস্থল ও আশেপাশের এলাকা নানা ধরণের পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে যায়। এসব পোস্টার ও ব্যানাওে নানা শ্লোগান সম্বলিত শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও সালাহউদ্দীন আহমদের ছবি শোভা পায়।