প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি কক্সবাজারের ২৪ তম সাধারণ সভা সংস্থার গোলদিঘির পাড়স্থ প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ৩১ আগষ্ট সকাল ১০টায় শুরু হয়। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার সহ-সভাপতি অধ্যাপক জেবুন্নেছা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার। সভার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানসহ তাঁর পরিবারের প্রয়াত সকল সদস্যের আত্মার শান্তি কামনায় উপস্থিত সকলে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন।

মুক্তি কক্বাজারের প্রতিষ্ঠাকালীন বিষয়াবলী নিয়ে বক্তব্য রাখেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান উপদেষ্টা অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী, প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান উপদেষ্টা এডভোকেট সুজিত চৌধুরী এবং উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্রী সন্তোষ শর্মা। সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রনজিত দাশ। প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার সংস্থার ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

বক্তব্য রাখেন, সংস্থার সভাপতি এড. শিবু লাল দেবদাস, সহ-সভাপতি অধ্যাপক জেবুন্নেছা, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রনজিত দাশ, সহ-সাধারণ সম্পাদক বাবলা পাল, নির্বাহী সদস্য রতন দাশ, মন্দিরা পাল, মাসুদা মোর্শেদা আইভি, সাধারণ সদস্য স্বপন কান্তি পাল, সোহেল আহমদ বাহাদুর, অসিত কুমার পাল, হেলেনাজ তাহেরা, অধ্যাপক অজিত কুমার দাশ, রেহেনা ইয়াসমিন এবং সেলিনা আক্তার।

প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী বলেন, আজ মন খুব ভারাক্রান্ত। মুক্তি কক্বাজার একটি স্থানীয় সংগঠন। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। এই সংস্থা আজ ধীরে ধীরে অনেকটা বেড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষের অপরিসীম দেশপ্রেম আছে। মুক্তি কক্বাজার প্রমাণ করেছে, সামাজিক নেতৃত্ব দিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া যায়। আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য “ঞড় নব মড়ড়ফ ঃড় ফড় মড়ড়ফ”. এই লক্ষ্যে আমরা অবিচল, তাই জয় আমাদের সুনিশ্চিত।

প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট সুজিত চৌধুরী বলেন, আকাশে কালো মেঘ দেখা যায় এবং ভেসে বেড়ায়। তা আবার সরেও যায়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে মুক্তি এতদূর এসেছে। আমাদের আরো বহুদূর এগিয়ে যেতে হবে। কক্সবাজারের মানুষের স্বার্থে সবাইকে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের অতীতের মত সফলতা আসবেই।

উপদেষ্টা এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক সন্তোষ শর্মা বলেন, আমরা সবাই সচেতন মানুষ। কক্সবাজার জেলার একটি প্রতিষ্ঠান মুক্তি কক্সবাজার। এই প্রতিষ্ঠানে কক্সবাজারের স্থানীয় লোকজনই বেশি কাজ করছে। এগুলো দেখলে আমার ভাল লাগে। কক্সবাজার জেলার স্বার্থে আমাদের মুক্তি কক্সবাজারকে টিকিয়ে রাখতে হবে। আমরা যা করি, যা ভাবি তা বিবেক দিয়ে চিন্তা করতে হবে।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দিলীপ পাল, যমুনা চৌধুরী, সংস্কৃতজন বিপুল সেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সংগঠক দীপক শর্মা দিপু, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর কক্সবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমান, সাংবাদিক শফিউল আলম, সংস্থার চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের সমন্বয়কারী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

অতঃপর সভাপতি মহোদয় বর্তমান কার্যকরী পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষনা করেন এবং নতুন কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনের অনুরোধ জানান। উপস্থিত সাধারণ পরিষদ সদস্যবৃন্দ ৩ সদস্য বিশিষ্ট সাবজেক্ট কমিটি গঠন করে তাদেরকে একটি নতুন কার্যকরী পরিষদ প্রস্তাব করার জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন। সাবজেক্ট কমিটির সদস্যরা হলেন- ১। অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী ২। এডভোকেট সুজিত চৌধুরী ৩। শ্রী সন্তোষ শর্মা । সাবজেক্ট কমিটি পৃথকভাবে বসে ১০ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কার্যকরী পরিষদের তালিকা তৈরী করে সভায় উপস্থাপন করেন। সর্বসম্মতভাবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ হতে ৩১ আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত মেয়াদের জন্য নিম্নবর্ণিত ১০ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়। নবনির্বাচিত সভাপতি হলেন এডভোকেট সুজিত চৌধুরী, সহ-সভাপতি অধ্যাপক জেবুন্নেছা, সাধারণ সম্পাদক বাবলা পাল, সহ-সাধারণ সম্পাদক রেহেনা ইয়াসমিন, সদস্য বিমল কান্তি চৌধুরী, মাসুদা মোর্শদা আইভি, রতন দাশ, মন্দিরা পাল, ডাঃ মিজবাহ উদ্দিন আহমদ,অধ্যাপক অজিত কুমার দাশ।