এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :
চকরিয়া উপজেলার সবর্ত্রে বেড়ে চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। রোববার পর্যন্ত উপজেলার সরকারী বেসরকারী হাসপাতালে মহিলাসহ ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। তৎমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জান্নাত হাকিমসহ দুইজন আক্রান্ত হয়ে চকরিয়ায় আসেন।
অবশিষ্ট ১৫জন সনাক্ত হয়েছে চকরিয়ায়। ডেঙ্গু সনাক্ত পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিট বেসরকারী হাসপাতালে পর্যাপ্ত থাকলেও সরকারী হাসপাতালে সংকট রয়েছে। কোরবানীর ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে নিকটাত্মীয়রা ঘরে ফিরলে ডেঙ্গু রোগ আরো বাড়তে পারে বলে আশ্কংা করছেন অনেকে।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য প. প. কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ বলেন, ৩ আগস্ট সরকারী হাসপাতালে পরীক্ষা করে ডেঙ্গু রোগী ধরা পড়ে দুইজন। তৎমধ্যে মহেশখালীর ছৈয়দ আহমদের ছেলে সায়েবুর রহমান (৩০) ও চকরিয়ায় নির্মানাধীন রেলওয়ের কর্মচারী চাঁদপুরের বাসিন্দা আসাদ আলীর ছেলে শফিউল্লাহ (৫৫)।
এছাড়া রাজধানী থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চকরিয়া হাসপাতালে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চকরিয়া পৌরসভার লোকমান হাকিমের মেয়ে জান্নাত হাকিম (২২)।
ডা.শাহবাজ আরো বলেন, সরকারী হাসপাতালে ইতিপূর্বে বরাদ্দ পাওয়া কিট শেষ হওয়ার পর রবিবার ৪ আগস্ট আরো বিশটি কিট বরাদ্দ পেয়েছি। কিন্তু যে পরিমান নারী-পুরুষ ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে আসছে তাতে ওই কিট দুই দিনেই শেষ হয়ে যাবে। তাই আরো কিট বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
চকরিয়াস্থ শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরীতে ৭ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে বলে এমডি নুরুল কবির নিশ্চিত করেছেন।
মা ও শিশু হাসপাতালের এমডি মো. জাকারিয়া বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত এক রোগী এই বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
প্রাইভেট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান জমজম হাসপাতালের এমডি গোলাম কবির বলেন, গত চার দিনে এই বেসরকারী হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬ নারী পুরুষ সনাক্ত হয়েছে। তৎমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে নারীসহ দুই জন ভাল হয়ে বাড়ী ফিরেছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী বাড়ার সাথে সাথে চকরিয়ায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুরো চকরিয়া পরিস্কার অভিযানসহ স্থানীয় মশা নিধন শুরু হয়েছে।
ইউএনও শিবলী নোমান বলেছেন, কোরবানীর ঈদে ঢাকা থেকে চকরিয়াস্থ ঘরে ফেরা আত্মীয়রা জ্বর বা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ফিরছে কিনা তথ্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গু সচেতনতা বাড়াতে নানাভাবে ব্যাপক প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।