জসীম উদ্দীনঃ

ফুটবল বিশ্বের জনপ্রিয় তারকাদের নামে গরুর নামকরণ করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা নতুন নয়। তারকাদের সফলতা ব্যর্থতার উপরে নির্ধারণ করা হচ্ছে তাদের বাজার মূল্য।

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও জমে উঠেছে পশুর হাটগুলো। সেখানে দেখা মিলছে মেসি নেইমারসহ নামি দামি সব ফুটবল তারকাদের নামের আকর্ষণীয় গরু তারকাদের।

কক্সবাজার সদরের জোয়ারিয়া নালার আবদু ছালাম রবিবার (৪আগষ্ট) কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে বৃহত্তর খরুলিয়া পশুর হাটে বিক্রির উদ্দ্যেশ্যে নেয়া হয় মেসি ও নেইমারকে।

সাড়ে তিন বছরের নেইমারের দাম ৭ লাখ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা পেলে বিক্রির ষোষণা দিলেন তিনি।

গরুর মালিক আবদু সালামের দাবি, মাঠে অনিয়মিত ও ধর্ষণসহ নানান কারণে নেইমারের ভক্ত কমেগেছে। সে কারনে গরু নেইমারেরও আকর্ষণও কমে গেছে।

তা ছাড়া সাম্প্রতিক কালে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা গরুর কারনে বাজারের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তাই তিনি নেইমারকে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারলে খুশি।

ছয় মাসের কম বয়সী মেসিকে ৫ লাখ টাকার এক টাকা কম হলেও বিক্রি করা হবে না বলে ঘোষণা তার।

নজরুল ইসলাম নামের এক মেসি ভক্ত দুবাই প্রবাসি সাড়ে ৪ লাখ হলে মেসিকে কিনতে রাজি। কিন্তুর মেসির মালিকের সাফ জবাব’ মেসিকে বিক্রি করা হবে এক দাম পাঁচ লাখে।

এ ব্যাপারে তার রয়েছে অদ্ভুত সব যুক্তি। তিনি নিজেকে রোনান্ডো ভক্ত দাবি করে বলেন, বিশ্বকাপের পর কুপা আমেরিকা বঞ্চিত মেসির জন্য আমার রয়েছে এক বুক ভালোবাসা।

তিনি বলেন, মেসি একজন অসাধারণ খেলোয়াড়ের পাশাপাশি ভালো মানুষও। তাই মেসির কোন সম্মান হানি হতে দিবেন না মেসির মালিক।প্রয়োজনে মেসিকে বিক্রি না করে রেখে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

অনেকের মত মেসি আর নেইমারকে চট্রগ্রাম বা ঢাকার বাজারে নেয়া হলে ৭থেকে ৮লাখ করে বিক্রি করা সম্ভব। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোন সীদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন তাদের মালিক।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খরুলিয়া বাজারে মেসি নেইমারদের দেখার জন্য উৎসুক জনতা ভিড় করছে। সাধারণ মানুষও দেখতে চায় শেষ পর্যন্ত মেসি নেইমারকে কত দামে কে কিনে নিচ্ছেন।