ফারুক আহমদ, উখিয়া :

উখিয়ার ভালুকিয়া পালংয়ে সন্ত্রাসী হামলায় পিতা-পুত্রকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে সন্ত্রাসীরা । গুরুতর আহতরা হচ্ছেন রত্না পালং কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম (৬৫) এবং তার পুত্র কোর্টবাজার ওয়াল টন শো-রুমের ম্যানেজার আব্দুর রহিম বাবুল। আশংকা অবস্থায় আহতদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (২০ জুলাই) সকালে মৃত শুক্কুর মাস্টারের ছেলে আমিরুল কবির ও বাচাঁ মিয়ার পুত্র সিকান্দরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় তৈরী অস্ত্র নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এ বররোচিত হামলা চালায় বলে আহত পরিবারের সদস্যরা জানান।

জানা যায়, উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া পালং গ্রামের মৃত জব্বর আলী সিকদারের ১ছেলে ও ৫ মেয়ে ছিল। তৎমধ্যে ছেলে শুক্কুর মাস্টার ও মেয়ে নছিমা খাতুন মারা যায়। বর্তমানে ৪ মেয়ে জীবিত রয়েছে।

অভিযোগে প্রকাশ, কয়েক বছর ধরে পত্রিক জায়গা পরিমাপ করিয়া ভোগ দখল করে আসছিল মেয়ে, ছেমন বাহার, নুর জাহান বেগম, নুর নাহার, নছিমা খাতুন ও লায়লা বেগম। তবে মৃত আব্দু শুক্কুর মাস্টারের ছেলে মাদকাসক্ত আমিরুল কবির প্রায় সময় মোটা অংকের চাঁদা দাবী সহ জায়গা জবর দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরীর নিকট মেয়ে পক্ষের ওয়ারীশগন শালিসী বিচার দেন। বর্তমানে বিষয়টি বিচারধীন রয়েছে।

এদিকে, নছিমা খাতুনের ছেলে মনজুর আলম ছেমন বাহারের ছেলে মনিরুল ইসলাম ও লায়লা বেগমের ছেলে সোহেল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, মোটা অংকের চাঁদার দাবী পূরণ না করায় শনিবার সকালে ভালুকিয়া হারুন মার্কেটের পূর্ব পার্শ্বে আমিরুল কবিরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমাদের ভোগ দখলীয় জমি জবর দখলের চেষ্টা চালয়। এতে বাঁধা প্রদান করিলে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম ও তার পুত্র আব্দুর রহিম বাবুলকে দেশীয় তৈরী অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ন্যাক্কার জনক হামলা চালায়।

স্থানীয় লোকজন চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদেরকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা অবনতি দেখা দিলে তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাদের অবস্থা আশংকা জনক বলে ডাক্তার জানিয়েছেন।

এব্যাপারে, থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে আহত পরিবারের সদস্যরা জানান।