মো. ফারুক, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার বারববাকিয়া-রাজাখালী-মগনামা সংযোগ সেতু নির্মাণের আড়াই বছরেও হয়নি পাকা সংযোগ সড়ক। যার কারণে দুই ইউনিয়নের মানুষ ছাড়াও শতশত শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অবহেলা করলেও কর্তৃপক্ষ রয়েছে সম্পূর্ণ নিরব।

জানা গেছে, বিগত ২০০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ওই তিন ইউনিয়নের একমাত্র সংযোগ সেতুুটি নির্মাণ করার কার্যাদেশ পান ফরিদুল আলম নামের এক ঠিকাদার। তিনি সেতুটির কাজ শেষ করে দুই পার্শ্বের সংযোগ সড়কটিতে ইট বসান। সেই সময় ওই ইটের রাস্তা দিয়ে সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে পারলেও সংযোগ সড়কটির কিছু ইট খুলে যাওয়ার পর কার্পেটিংয়ের জন্য বরাদ্ধ দেওযা হয়। পরে লিটন নামের এক ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দিয়ে সেতুর সংযোগ সড়কটির কাজ দ্রুত শেষ করার তাগাদা দেওয়া হয়। তিনি ঠিকাদার নিয়োগ হওয়ার পর সড়ক কার্পেটিং করার নাম করে ফরিদুল আলমের লাগানো ইট গুলো খুলে নেয় সংস্কার করার জন্য। প্রায় ১বছর হতে চলল সড়কটি ঠিকাদার সংস্কার কাজ শুরু করেনি। যার কারণে হাজার হাজার জনগণ ও শিক্ষার্থী চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। বৃষ্টি হলে চলাচল বন্ধ থাকে এলাকাবাসীর।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, তিন বছর হতে চলল সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু সংযোগ সড়কটি কার্পেটিং করা হয়নি। সাধারণ মানুষের চাইতে প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্কুল, মাদ্রাসা আর কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচলে ব্যাপক অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। সংযোগ সড়কটির কাজ দ্রুত শুরু করার দাবী জানাচ্ছি।

সেতু সংলগ্ন মগনামার ইউপি সদস্য মোঃ মাদু ও রাজাখালীর ইউপি অলী আহমদ বলেন, বর্তমান সরকার কয়েক কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়ে তিন ইউনিয়নের এলাকাবাসীর সুবিধার্তে সেতুটি করেন। বর্তমানে অসাধু ঠিকাদারের কারণে সেই সুফল ভোগ করতে পারছিনা আমরা। আমরা সংযোগ সেতুটির সংযোগ সড়কটি দ্রুত শুরু করার জন্য এমপি ও প্রকৌশল কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এবিষয়ে জানতে ঠিকাদার লিটনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, গত ৬মাস আগে আমি কার্যাদেশ পায়। কাজ শুরু করার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সড়কটির মাঠি না পাওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি। এছাড়াও বর্ষায় কাজ করা যাচ্ছেনা। বর্ষার পর দ্রুত কাজ শেষ করা হবে।

এবিষয়ে জানতে পেকুয়া প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর মোবাইলে কল করা হয়। রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।