ডেস্ক নিউজ:
দলের চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ আমৃত্যু দলটির চেয়ারম্যান ছিলেন। গত রোববার এরশাদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান। গত ৪ মে ছোট ভাই জি এম কাদেরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন এরশাদ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জি এম কাদেরকে দলের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণার পর জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টিতে কোনো দ্বন্দ্ব, মতভেদ ও বিভেদ নেই। জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ।’
এরশাদ তাঁর ছোট ভাইকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করায় দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকেই অখুশি হন। তবে এ নিয়ে আর বড় ধরনের কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি হয়নি। এত দিন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন কাদের।
রোববার এরশাদের মৃত্যুর পর তাঁর দাফন ঢাকায় হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয় দলটির পক্ষ থেকে। ঘোষণা অনুযায়ী মৃত্যুর দিন ও পরদিন সোমবার ঢাকায় তিন দফা জানাজা হয়। চতুর্থ ও শেষ দফা জানাজার জন্য গত মঙ্গলবার রংপুরে এরশাদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এর আগে থেকেই রংপুরে এরশাদের দাফনের দাবিতে অনড় দলীয় কর্মীদের চাপে শেষতক রংপুরের এরশাদের বাড়ি পল্লী নিবাসেই তাঁর দাফন হয়। দলীয় কর্মীদের প্রবল চাপে জি এম কাদের ও পরে রওশন এরশাদ রংপুরে এরশাদের দাফনের বিষয়ে সম্মতি দেন।
এরপর থেকে দলীয় চেয়ারম্যান কে হবেন, তা নিয়ে একটা আলোচনা ছিল। আজ দলটি জি এম কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দিল। আজ জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই জি এম কাদের চেয়ারম্যান হয়েছেন।
আজ জি এম কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক এরশাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন। এ জন্য জি এম কাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এরশাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত সিএমএইচের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান কাদের। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান কাদের।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।