রাজীব কুমার দাশ
প্রায় মাস পেরিয়েছে।পত্রিকা,পোর্টালে আমার লেখা আসেনি।পেশাগত কাজের ব্যস্ততা,গবেষণাধর্মী কিছু কাজ।সবমিলিয়ে লেখা পাঠাতে পারিনি।আমার আনাড়ি হাতে নস্যি মার্কা লেখাগুলো ধৈর্য্য নিয়ে অনেক সন্মানিত পাঠক পড়েন।কিন্ত লেখায়, ‘আমাকে এতো অনুভব করেন’ সত্যি ই জানা ছিলোনা।লেখা প্রকাশের সপ্তাহ না যেতে, ইনবক্স, মেইলে আসতে থাকে এঁনাদের আবদার,আদেশ।’এটা নিয়ে লেখেন’,’ওটা নিয়ে লেখেন’,এভাবে, সেভাবে, আরো কতো কি?আমি জানি,এখন প্রথিতযশা /গুণীজনের লেখা ও পড়তে পাঠকদের সময় বা আগ্রহ নেই।দৈনন্দিন পারিবারিক ও সামাজিক বহুমুখি চিন্তা,হতাশা, অস্হিরতা,মননীয় ঘাটতি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুবিধ ব্যস্ততা,আকাশ সংস্কৃতিতে রীতিমতো উত্তর মেরু,দক্ষিণ মেরু দাপিয়ে বেড়ানোর প্রতিযোগিতা।নাতিদীর্ঘ লেখা ছাড়া বড়ো পরিসর লেখা পাঠকের সংখ্যা শুধু আমাদের দেশে নয়,বিদেশে ও কমে যাচ্ছে।তবে আশাজাগানিয়া সংবাদ, নতুন প্রজন্ম যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার,যারা কমিটমেন্ট বিশ্বাস করে, লালন করে, তারা কিন্তু পঠনশীল ও মননশীল। যে কথা বলছিলাম–‘আমার সন্মানিত পাঠকদের বলে থাকি’, “সরকারি চাকরির বেশ বাধ্যবাধকতা “।জনবান্ধব ভাবনার বাইরে তো যেতে পারিনা?চিন্তার অপমৃত্যু ঘটলে কি ই বা করার আছে?
আমার নস্যি মার্কা লেখার সন্মানিত পাঠকদের ধন্যবাদ দিয়ে প্রথাগত ছোট করতে চাইনা।তাঁরা আসলে ই অনেক অনেক গুণী।গুণী পাঠকশ্রেনী ই তৈরী করে গুণীধারার লেখক,কবি,সাহিত্যিকের মঞ্চ।
আপনারা, আমরা এরি মধ্যে দেখতে পাচ্ছি,ভয়াবহ সামাজিক অবক্ষয় গুলো–মাদকের বিস্তার, ধর্ষণ,পিটিয়ে মারা,কথিত ছেলেধরা গুজব,ভেজালে বিষে ভরা, দৈনন্দিন জীবনমুখী খাবার ও পণ্য, গ্যাং কিশোর দলের উপদ্রব।
জনবান্ধব ধারার মানবীয় সরকার, এ অমানবীয়, দানবীয় অপরাধ রুখতে দৃষ্টান্তরূপে কাজ করে চলেছে।সরকারের নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে চলেছে অবিরত।কিন্তু কিছু সরকারী প্রতিষ্ঠানে ঘাপটি মেরে থাকা সুযোগসন্ধানী ধান্ধাবাজ অপেশাদার ব্যক্তি রাষ্ট্রের প্রতি পেশাগত কমিটমেন্ট পালনে গা ছাড়া ভাব,সরকারের জাতীয় ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ উন্নয়ন সফলতার কৃতঘ্ন চিন্তা,বহুরুপী কৃত্রিম ব্যক্তিত্ব,জমিদার ভাব,সুক্ষ্মদর্শী ব্যক্তিগত লাভ চিন্তা, মায়া কান্না,শতভাগ ভন্ড,সব গিলে খাই খাই স্বভাবে নীরবে সরবে দাবা চাল দিয়ে যাচ্ছে। এ সুক্ষ্মদর্শী শকুনি চালে বেঘোরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। এ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ঘিরে জনবান্ধব সরকারের উড়ন্ত সফলতার কারনে আজ তৈরী হচ্ছে, আগামীর জাতীয় ভিশন ধারার টেকসই মানবসম্পদ সহযোদ্ধা। অর্থনীতি ও সামাজিক অবকাঠামোগত উন্নয়নের দৃশ্যমান ডিজিটাল সাফল্য। পরিতাপের বিষয় -টেকসই, দৃশ্যমান জাতীয় সাফল্যের উড়ন্ত যাত্রা ধারায় সম্পূর্ণ অপরাধ বন্ধ হচ্ছেনা কেনো?
পাঠক বোদ্ধা, সংগত কারনে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন?ঠিক ই তো!তোলা ই স্বাভাবিক।কারন আপনারা দেশের সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করেন।একজন সুনাগরিক হিসেবে সরকারের ট্যাক্স, আয়কর,ভ্যাট নিয়মিত প্রদান করেন।নিরাপদ থাকার অধিকার লাভ করেন, যা আপনার সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু যারা অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে এরা কারা?এরা তো ভিনদেশী কেউ না। এরা আমাদের মানবসম্পদ উন্নয়নের সহযোদ্ধা অংশীদার।এরা কারো বাবা,কারো,সন্তান,কারো ভাই। কিন্তু কেনো তারা দুর্নিবীত? কেনো তাদের কাছে মা,বোন,সন্তান নিরাপদ নয়?কেনো গ্যাং কিশোর দল বড় ভাইদের কথামতো ফিল্মি ষ্টাইলে ৮/১০ টা মটর সাইকেল দাপিয়ে মায়ের কোল খালি করে পিটিয়ে মেরে পৈশাচিক উল্লাস করবে?কেনো আমাদের জাতীয় অহংকার পদ্মা সেতু নিয়ে গুজবপ্রচার করে সামাজকে ভয়ার্ত করবে?মাদক গোষ্ঠী সন্ত্রাসীরা আর কতো পরিবার,সমাজ ও দেশের মানবীয় সত্তাকে দিনে দিনে বিলীন করে দেবে? আমাদের কিছুই করার নেই?অপরাধীরা কি এতোই শক্তিশালী?অপরাধ বিজ্ঞানী,সমাজ বিজ্ঞান,নৃ-বিজ্ঞান,মনোবিজ্ঞানী ভিন্ন ভিন্ন তথ্য উপাত্ত দিয়ে-‘কেউ কেউ” বলবেন-পারিবারিক অটুট বন্ধনের অভাব,সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত রোগী, ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য জটিলতা,হতাশা ও ক্ষোভ,না পাওয়ার বহুরুপী আবেগী চিন্তা আরো কতো কি?
আমাদের আসলে অনেক বহুমুখি সমষ্যা— অতি কথন,অতি মিথ্যা,হিংসা,নিন্দা,ছোগলখুরী, অল্প পরিশ্রমে অধিক মুনাফা চিন্তা, রাতারাতি বড়লোক,অতি লোভ,প্রতারনা, অহংকার,আহামরি ভাব,অতি উৎসাহী, বর্ণচোরা, পরশ্রীকাতর চিন্তা,সবখানে। আগে এ মানসিকতার সমাজের হাতে গোনা কিছু মানুষ ছিলো।কিন্ত এখন হু হু করে বেড়েই চলেছে— জাতীয় বিশ্বাস, সততার পরিসংখ্যান সূচক নিম্নমুখী। এখন বলতে গেলে হাতে গোনা। সৎ চিন্তার মানুষগুলোর পরিবার,সমাজে দৈন্যদশা। অসৎ ব্যক্তিদের সরব নীরব ঠাট্টাতামাসা, মানসিক নির্যাতনে সৎ মানুষগুলো কোনঠাসা।
এখন আরো এক সমষ্যা অনলাইন নিউজ পোর্টাল,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, যা চোখে পড়ার মতো–‘দিনমজুর বাবার সন্তান’ অমুক চাকরি পেয়েছে।কুলির সন্তান,বুয়ার মেয়ে, ভিক্ষুক বাবার সন্তান অমুক, ‘ চাকরি পেয়েছে।যাঁরা চাকরি যুদ্ধে,ব্যবসা,পড়াশোনা,খেলাধুলা
ধর্ষন সংখ্যাধিক্য বেড়ে যাবার বিষয়ে আমার গবেষনাধর্মী লেখা,”বোবা কান্নাই কি আমৃত্যু সম্বল? শিরোনামে একাধিক পত্রিকা ও পোর্টালে বেরিয়েছে।ধর্ষন রোধে একটি দেশে সর্বাগ্রে দরকার পরিবার, সমাজের বহুমুখি সচেতনতা, দৃঢ় চেতা প্রকৃত ধর্মীয় অনুশাসন,রাষ্ট্রের আইনের যুগোপযোগী স্বল্প সময়ে দৃশ্যমান প্রয়োগ,যা এখন সরকার করে চলেছে অবিরত।যত্র তত্র স্হানে যৌন শক্তি বর্ধক ঔষধ বিক্রি বন্ধ, পর্ণ মুভি,শিশু পর্ণ মুভি
নিষিদ্ধ করা,ধর্ষক এর ছবি ও পরিবারের ইতিবৃত্ত রাষ্ট্রের প্রচার, বিজ্ঞ আইন বিশারদ, বিজ্ঞ আইনজীবি ও জাতীয় বিশিষ্টজন সমন্বয়ে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে প্রতিরোধ আওয়াজ ও প্রচার, বিভিন্ন মিডিয়া এবং পত্রিকায় দৈনিক “ধর্ষক”কলাম রেখে প্রচারে সফলতার কেতন উড়তে পারে।সব ধরনের সামাজিক অবক্ষয় রোধে দেশমাতৃকার সেবায়, মাদক (ইয়াবা),ধর্ষণ,ইভটিজিং, বন্ধে সমাজের সবার বাস্তব ঘরনা মিশেল অংশীদার হয়ে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ক্রমাগত চালিয়ে গেলেই সুফল আসবে।সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,প্রান্তিক পেশাজীবি একাট্টা বলয় তৈরী হবে।নতুন প্রজন্মকে জাতীয় পরিসরে উদ্বুদ্ধ করা গেলে প্রজন্মান্তর সুফল আসতে বাধ্য।
মাদক অনুপ্রবেশ,চালান,লিংক ও এক্টিভ চার্ট রোধে বিশেষ করে সরকারের এজেন্সী/প্রতিষ্ঠান গুলো প্রকৃত দেশমাতৃকার সেবার মানসিকতা নিয়ে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে।শুধু সরকারের এজেন্সী ও এককভাবে কাজ করলে শতভাগ সফল হবেনা।এ দেশমাতৃকার যুদ্ধ প্রতি পরিবার হতে শুরু করতে হবে।
আমাদের পরিবার, সন্তানদের ধ্বংস করে প্রতিভার অপমৃত্যু ঘটিয়ে কথিত ভদ্রবেশী শুভাকাংখী সাদা মনের মানুষ,দানবীর বড় ভাই সেজে নিজের আখের গোছাতে উঠে পড়ে লেগেছে।এ ভদ্রবেশী ভন্ড কখনো বড় ভাই,কখনো শিল্পপতি,দানশীল সেজে কিশোর, যুবক দের দলে ভিড়িয়ে নেয়।মগজ ধোলাই করে বাবা মায়ের চেয়ে ও আপন হয়ে যায়।স্মার্ট বানাতে প্রথমে দামী সিগারেট,মাদক ধরিয়ে দেয়।আম্তে আস্তে ছোট মারামারি করায়।আমরা, ‘অমুক ভাইয়ার লোক’পরিচয়ে জাহির করে।বড় ভাই মোটর সাইকেল কিনে দেয়।দাপিয়ে বেড়ায়।মাদক,ছিনতাই,ধর্ষণ,ডাকাতি রপ্ত করে একদিন নিজেই মহল্লা,পাড়া,সমাজের বড়ভাই বনে গিয়ে বিচারক হয়ে রায় পর্যন্ত দিয়ে দেয়।আবার কখনো মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার লোকগুলো বড়ভাইদের দাপটে ভয়ে স্তব্ধ হয়ে পিছুটান দেয়।
আসলে বড় ভাই সংস্কৃতির কারনে ভয়ানক গ্যাং কিশোর দলের বিস্তার দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।এ কিশোর দের বাবা মা অক্লান্ত পরিশ্রমে মানুষ করার চেষ্টা চালায়।কথিত বড় ভাইদের সু চতুর প্রতারনার কাছে হেরে যাচ্ছে সহজ সরল ছাত্র,অছাত্র কিশোর ও তাদের পরিবার।কথিত দরদী বড় ভাই সব স্বপ্ন ভেঙ্গে তছনছ করে দিচ্ছে।এ বড় ভাই সংস্কৃতির কারনে ও দাপটে,উপশহর,শহর,এমন কি গ্রাম কেন্দ্রিক প্রান্তিক নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষগুলো অসহায় হয়ে পড়েছে।এ কথিত দরদী ভন্ড বড়ভাই লোক দেখানো সাহায্য,অহরহ প্রচার করে রাতারাতি বনে যান,দানবীর ও সমাজসেবক। কিন্ত রাতের অন্ধকারে ভন্ড কুৎসিত কদাকার।
বিষে ভরা আমাদের জীবন–মাছ,মাংস,শাকসবজি, ফল, চাল, ডাল,তেল হতে শিশু খাদ্য সব বিষে আক্রান্ত।জানিনা এ বিষে আমরা কতোদিন বাঁচবো?আমাদের নেই কোনো জাতীয় চেতনা,নেই প্রজন্ম চিন্তা,নেই কোনো সচেতনতা।যে ভাবে যেখানে আছি,শুধু নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত!কতো?কিভাবে? কি ফন্দিফিকির করে রাতারাতি বাড়ি, গাড়ি,ব্যাংক ব্যালেন্স করা যায়? এ চিন্তা একেবারে জাতীয় চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।দেশ,সমাজ,গোল্লায় যাক— এ নিয়ে এতো চিন্তা কেনো?সৎ লোকগুলো সবখানে নিজেদের গুঁটিয়ে চলেন।কারন অসৎ দুষ্টু দলের পাল্লা ভারী।সৎ লোক এখন পরিবার,সমাজ দেশের বোঝা।তাঁদের নেই কোনো তদবির ,নেই কোনো ডাকসাইটে সোসাইটি,নেই কোনো প্রভাবশালী ছায়া।বাসায় স্ত্রী,সন্তান,ভাই বোন,পরিবার পরিজনদের কাছে এক হতচ্ছাড়া,অপরাধী।জীবনটা কেটে চলেছে লোকাল ট্রেনের মতো।
আসলে সবাই হাত পা গুঁটিয়ে থেকে- ‘বিড়ালের গলায়,’ঘন্টা বাঁধবে কে?এ চিন্তায় নিজের নিরাপত্তা, পরিবাবের নিরাপত্তা চিন্তায়, কারো বিরাগভাজন হবার ভয়ে মাদক,ধর্ষন,বড় ভাই সংস্কৃতি,বিষের জ্বালা, ভয়ানক গুজব, সন্ত্রাস সহ্য করে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষরুপী রাক্ষসের আছে আমরা আর কতো জিম্মি থাকবো?বিপ্লবী চে গুয়েভারা উদাত্ত আহবানে জানিয়েছেন –‘যখন কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করো’তোমরা আমার সহযোদ্ধা। সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই–যে যতো কালো ক্ষমতাধর হোক না কেনো,সামাজিক আন্দোলন সব ক্ষমতা নিমিষে কেড়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করে সাম্যের জয়গান।রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনের কাছে অপরাধীরা যতোই ক্ষমতাধর হোক না কেনো?তা সাময়িক।
মাদক,ধর্ষণ,সন্ত্রাস,সামাজিক কৌলীন্য , অমানবীয় অপরাধ, জংগীবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।আমরা নিজেরাই যদি সচেতন না হই?হাত পা গুঁটিয়ে নিজের সেরা কাজটা যদি না করি?শুধু ধারনা বশে একে অপরের দোষটা দেখি?নিজেরাই নিজের দোষ না দেখে সুনাগরিক সংজ্ঞা ভুলে শুধু
হা পিত্যেস করে, ‘অমুক সমুক ‘ প্রতিবাদ করবে “আমি কিন্তু করবোনা”চিন্তায় বিভোর থাকি,তবে আমাদের জাতীয় অহংকার -“ভিশন”২০২১ ও ২০৪১ পথচলায় বেশ চিন্তার বিষয়।
লেখক-রাজীব কুমার দাশ-কলামিষ্ট, পুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ।
ই-মেইল- rajibkumarvandari 800@gmail.com.
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।