এম আবুহেনা সাগর,ঈদগাঁও :

জেলা সদরের ঈদগাঁওর প্রধান চলাচল সড়ক নয়,যেন কাঁচা বাজারে পরিনত হয়ে পড়েছে। প্রশাসনিক তদারকির অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাত দখল ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ে দূর্বিসহ হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। বাজারের পরিধি সময়ের সাথে সাথে হু হু করে বাড়ছে,পণ্য পরিবহন, ব্যবসায়ী কার্যক্রম,ক্রেতা-বিক্রেতা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে যোগানের সমন্বয় করতে বেড়ে যাচ্ছে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনাসহ নানান ধরনের সামাজিক অসং গতি। দেখা যায়, জনদূর্ভোগে নাকাল সাধারণ ভোক্তা,ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীসহ হতাশ হয়ে পড়া ঈদগাঁও বাজার নির্ভর পরিবারসমূহের কর্তা ব্যক্তিরা। বৃহৎ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত বাজারের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে প্রধান উপসড়ক সমূহ,সংযোগ সড়ক অলিগলি সবখানেই ফুটপাত দখল করে রেখেছে দোকানের সানশেড,পণ্যপসরা,ভাসমান হকার,মৌসূমী ফল বিক্রেতা,তরকারী বিক্রেতা, কবিরাজী ঔষুধ বিক্রেতা নির্মাণ সামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠান রড সিমেন্ট ও হার্ডওয়ার সামগ্রী। ফুটপাত দৃশ্যমান থাকলেও ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই। ডিসি সড়ক জুড়েই মৌসুমী ব্যবসায়ীদের দখলে। ফলে বাজারমুখী ক্রেতা-বিক্রেতা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণের দূর্ভোগ চরমে বললেই চলে। প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। পথচারীরা ফুটপাতের পরিবর্তে ব্যবহার করছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মধ্যভাগ। এমন চিত্র ঈদগাঁও বাজারের সবখানেই। পণ্য পরিবহন ও পণ্য খালাসের জন্য কোন সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন ও সময়সূচী না থাকার কারণে পণ্যবাহী বড় বড় ট্রাক,কাভার্ড ভ্যন,বাজারে প্রবেশ করো পুরো রাস্তায় দখল করে রাখে। পণ্যখালাস করে এ সকল যানবাহন স্থান ত্যাগ না করা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে সৃষ্টি হয় যানজট।
২০ মে বিকেলে এ প্রতিবেদক বাসষ্টেশন দিয়ে বাজারে আসার মুহুর্তে কজন পথচারী জানান, ঈদগাঁও বাজারের প্রধান চলাচল সড়ক যেন কাঁচা তরী তরকারী বাজার! এসব দেখার কি কেউ নেই? অভিযানও নেই।
বৃহত্তর ঈদগাঁওর প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চল থেকে আসা সাধারন পথচারী চলাচল করতে হিমশিম খাচ্ছে।ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে বিপাকে পড়ছে। সড়কের একটি অংশ ফুটপাত ব্যবসায়ী রা দখলে নিয়েছে। অথচ বাজারে নিদিষ্ট তরী তরকারী বাজার থাকার পরেও ব্যস্ততম সড়কে ফের তরকারী ব্যবসা আসলে দু:খজনক।
সড়কে দুটি যানবাহন ক্রসিং হওয়ার মত পর্যাপ্ত জায়গাও নেই। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের দখলে।

তবে পথচারীদের মতে,ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটি নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করায় এহেন অবস্থার সৃষ্টি। না হলে ঐতিহ্যবাহী বাজারটি প্রতি মুহুর্তে আলোয় আলোতে ফিরে আসত।

এ ব্যাপারে বাজার পরিচালনা কমিটির দপ্তর সম্পাদক,ইজাদার কমিটির সদস্য ছৈয়দ করিম এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন,বহুবার এসব ভাস মান ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে যে,বাজারে নিদিষ্ট তরকারী শেড়ে ব্যবসা করার জন্য,কিন্তু এসব কথাকে কর্ণপাত না করে পূূর্বের ন্যায় ফের ঈদগাঁও বাজার প্রধান চলাচল সড়কের দুপাশে বসে ঝানজট সৃষ্টি করে। রমজান শেষে অভিযান হবে বলেও উল্লেখ করেন।

ঈদগাঁও বাজার কমিউনিটি পুলিশ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান চৌধুরী জানান,জেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ এই বাজারে যত্রতত্র স্থানে বসা ফুটপাত ও ভাসমান মৌসুমী ব্যবসায়ী দেরকে উচ্ছেদ করা হলে হয়তো সাধারন লোক জন অনায়াসে চলাচল এবং যানজট মুক্ত হতো ঈদগাঁও বাজার। জনস্বার্থে ফুটপাত উচ্ছেদ করা অতীব জরুরী।