সংবাদদাতা:
কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাট সংলগ্ন সদর খাদ্য গুদাম থেকে অনুমান ১০০ ফুটের মধ্যে সরকারী ১ খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে রাতারাতি বাউন্ডারী ওয়াল দিয়ে দখলের পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ৩০টি বসতঘর জিম্মি হয়ে পড়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে দিতে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া বাউন্ডারী করতে কাটা হয়েছে বেশ কিছু গাছপালাও।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, খাদ্য গুদামের মালিকানাধীন জায়গা দাবী করে কয়েক দিন ধরে বাউন্ডারী নির্মাণের কাজ চলছে। রাতারাতি কাজ সম্পন্ন করতে নিয়োগ করা হয়েছে ১৫/২০ জনের মতো শ্রমিক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছে, খাদ্য গোদামের জমির অজুহাতে একটি সিন্ডিকেট সরকারী জমি দখলের পাঁয়তারা করছে। ওই চক্রে খাদ্য গোদামে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তাও জড়িত।
স্থানীয় শফিউল্লাহ সবুজ নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমরা এখানে প্রায় ৩২ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। আমাদের কোন ধরণের নোটিশ না দিয়ে একটি ঘরের মাঝখানে ভাগ করে রাতারাতি বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ শুরু করা হয়।
তিনি বলেন, সরকারী জমি হলে নোটিশ দিবে, অধিগ্রহণ করবে জানি। তা না করে অতর্কিতভাবে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করা রহস্যজনক। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার প্রসঙ্গে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের অবগত করানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে বলেন, খাদ্য গোদামের রেকর্ডেড জায়গা বাইরে রয়ে গিয়েছিল। তাতে কাজ চলছে। এই জমিতে বাউন্ডারী দেয়ার জন্য আমি আসার আগেই প্রাক্কলন হয়েছে। খাদ্য বিভাগের টেন্ডারের আলোকে বাউন্ডারী ওয়াল দেয়া হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার কাজ করছে।
তিনি বলেন, স্থানীয়দের অপত্তির ভিত্তিতে রবিবার (১৯ মে) ইউএনও, এসিল্যান্ড বা তাদের কোন প্রতিনিধি জমি পারমাপের জন্য আসতে পারেন। সরকারী রেকর্ডেড জায়গা যতটুকু হবে- ততটুকু জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল হবে। এতে ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ নেই।