কক্সবাজারের কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত ‘খরুলিয়ায় গণমাধ্যম কর্মীর বসতভিটার গাছ কেটে নিলো প্রভাবশালী’ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদের প্রকাশিত তথ্য বাস্তবতার সাথে কোনো ধরণের মিল নেই। বরং উল্টো।

প্রকৃত ঘটনা হলো, আমার প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলম শামস এর পরিবার আমার বসতভিটার জায়গা দখল করে তাদের বাড়ি নির্মাণ করেছিল।  সেই সময় আমি বাধা দিই। বাধা দিলে তারা আমাকে অন্যস্থান থেকে জায়গা দেবে বা টাকা টাকা দেবে বলে। কিন্তু তাতে আমি রাজি হয়নি। তারপরও জোর করে তারা ঘর তৈরি করে ফেলে। তখন আমি এলাকার গণামান্য ব্যক্তির কাছে গিয়ে বিচার চাইলে জাহাঙ্গীরের পরিবার আমার জায়গা ফেরত দেয়ার অঙ্গীর করেন। কিন্তু বিচার মানলেও জায়গা ফেরত দিতে গড়িমসি করে। কাল-পরশু এবং কিছুদিন পরে দেবে বলে বলে কাল ক্ষেপণ করে এবং শেষ পর্যন্ত দেয়নি। এছাড়াও তাদের বাড়ির টয়লেটের ট্যাংক ও নল আমার বসতবাড়ির দিকে দিয়ে দেয়। এতে দীর্ঘদিন দুর্গন্ধ নিয়ে আমার পরিাবর বসবাস করে এসেছে।

সম্প্রতি আমি বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করি। এখন আমি বাড়ি করতে গেলে দখল করে রাখা আমার জায়গার ফেরত তো দূরের কথা উল্টো আমার অবশিষ্ট জায়গাও তাদের জায়গা আছে দাবি করছে জাহাঙ্গীরের পরিবার। তাদের এমন উদ্ভট দাবি কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না ।  এই নিয়ে তারা পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে।

পত্রিকায় উল্টো সংবাদ করেও ক্ষান্ত হয়নি। জাহাঙ্গীর আলম নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে আমাকে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। তারপরও আমি বিচার মানি। বিচারে আমি দোষী হলে দোষ মেনে নিয়ে শাস্তি মাথা পেতে নেবো।

আমি একজন নিরীহ মানুষ। প্রবাসে থেকে সামান্য আয় করে আমার পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনো মতে জীবন কাটাচ্ছি।

অথচ সংবাদের আমাকে ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী লেখা হয়েছে। তা খুবই জঘন্য ও বিভ্রান্তিকর। আমি কোনো ধরণের খারাপ কাজের সাথে কোনোভাবেই জড়িত নেই। তা এলাকাবাসী সাক্ষী দেবে। তাকে কোনোভাবে হুমকি দিইনি। অথচ সংবাদের জাহাঙ্গীর তাকে আমি খুন ও গুম করবো লিখেছে। একইভাবে আমি ১৬ বছর ধরে দুবাই থাকি। কয়েকবছর পর পর একবার বাড়ি আসি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে অপবাদ দিচ্ছে জাহাঙ্গীর।

প্রকৃত পক্ষে সাংবাদিকদের সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দিয়ে হাস্যকর সংবাদ পরিবেশন করেছেন জাহাঙ্গীর। পরিশেষে  প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ব্যাপারে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।

প্রতিবাদকারী
হাবিব উল্লাহ
খরুলিয়া, ঝিলংজা, কক্সবাজার