বাংলাদেশ জার্নাল:

লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খুনি ও অর্থ পাচারকারীদের অবশ্যই শাস্তি হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লন্ডনের তাজ হোটেলে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। খুনি ও অর্থ পাচারকারীরা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, যত টাকাই খরচ করুক, তাদের কোনো ক্ষমা নেই এবং জাতি তাদের ক্ষমা করবে না। তাদের বিচারের আওতায় দ্রুতই আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আদালত খুনি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। আমরা এই রায় কার্যকরের পদক্ষেপ নেবো। তারা যত স্লোগানই দিক, যত তিরস্কারই করুক, তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখা ও দলের সহযোগী সংগঠনগুলো এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় মঞ্চে ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অপপ্রচারের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, যাদের জন্মের কোনো বৈধতা নেই তারাই সবকিছুতে অবৈধ খুঁজে বেড়ায়।

তিনি বলেন, ‘মিথ্যা নিয়ে কারবার করাই বিএনপির ব্যবসা এবং তারা এতিমের অর্থ আত্মস্যাৎ করে এবং বিদেশে অর্থ পাচার করে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক বনে গেছে।’

‘তবে, আমি বিশ্বাস করি, সত্যের জয় হবেই,’ যোগ করেন তিনি।

বিগত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় এবং গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের চমকপ্রদ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। যাতে করে বিজয় সমুন্নত থাকে এবং অতীতের মতো বাংলার মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে এবং দেশের ইতিহাসকে বিকৃত করতে না পারে।’

দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার নিজস্ব অর্থ দিয়েই পদ্মা নেতু নির্মাণ করছে এবং ইতোমধ্যে সাড়ে ৬ কিলোমিটার সেতুর প্রায় ২ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সেতু নির্মাণ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, কিন্তু আমরা সেই অভিযোগ মেনে নেইনি বরং আমরা এর প্রতিবাদ করেছি কারণ সেই সাহস আমাদের ছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কেন তাদের অভিযোগ মেনে নেব, যে কাজ আমরা করিনি। একটি সংস্থা আমাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিল এবং আমরা তা মেনে নেইনি কেননা তা কখনও ঘটেনি। আমরা কোনো অভিযোগ ঘাড়ে করে ক্ষমতায় আসতে চাইনি।’

তিনি বলেন, ‘আমি কোনো মিথ্যা অভিযোগের দায় নিতে পারি না এবং আমি জানি মানুষ সত্য ভালবাসে এবং মর্যাদা দেয়, আমি এও জানি সত্যের পথ সবসময়ই কঠিন এবং সে পথেই আমি এ পর্যন্ত এসেছি।’