ডেস্ক নিউজ:
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যাচু অব লিবার্টির আদলে কক্সবাজারে হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বছরব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা নিয়ে মুজিব বর্ষ উদযাপন করবে। সরকার এ উপলক্ষে স্ট্যাচু অব লিবার্টির আদলে জাতির পিতার প্রতিকৃতি তৈরি করবে।
পরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার দীপংকর বর জানান, স্ট্যাচু অব লিবার্টির আদলে জাতির পিতার প্রতিকৃতি হবে আন্তর্জাতিক মানের। আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে এটি নির্মাণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে প্রতিকৃতিটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছেন।
মুজিব বর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় মিত্র বাহিনী সদস্যদের ৫০০ সন্তানকে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, তাদের বাছাইয়ের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশনকে দায়িত্ব দেয়া হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পাকিস্তানি শাষক ও শোষক গোষ্ঠীর কবল থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতার ঋণ আমরা কোনো দিন শোধ করতে পারবো না। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন হবে জাতীয় জীবনের এক অনন্য সুন্দর উপলক্ষ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করা হবে। বছরব্যাপী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক জাতীয় দিবসগুলো উদযাপনে জাতির পিতার বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে মুজিব মেলার আয়োজন করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
সভায় মুজিব বর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘লিবারেশন ওয়ার হিউম্যানিটি অ্যাওয়ার্ড’ দিতে বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। মুজিব বর্ষ উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পরবর্তীতে পুনরায় সভা করে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।