প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’র কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি আ স ম রায়হান বলেন আত্মশুদ্ধি ও প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে পবিত্র রমজান মাস আমাদের নিকট এসে হাজির হয়। এ মাসটির আগমনে মুসলমানেরা অধিক পরিমাণ সংযম ও ভাল কাজের সুযোগ লাভ করে। বরকতময় এ মাস থেকে নেয়া শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পুরো বছর জুড়ে নিজ জীবনে লালন করাই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কেননা রোজার মাধ্যমে বান্দা আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়। আমাদের সমাজে বেশি সংখ্যক মানুষ না খেয়ে অনাহারে তাদের জীবন পার করছে। রাষ্ট্রে প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাগুলো মানুষের আর্থিক দূরাবস্থা থেকে মুক্তি দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বিপরীতে ইসলামী অর্থব্যবস্থা মানুষকে এ ধরণের চরম বৈষম্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। কেননা ইসলামী বিধানের অন্যতম রোজা মানুষকে অসহায়-দুঃখী মানুষের কষ্ট অনুধাবনের শিক্ষা লাভে সহায়তা করে। রোজার মাধ্যমে সহমর্মিতা ও সহনশীলতার প্রশিক্ষণ অর্জিত হয়। পবিত্র রমযান মানুষকে ধৈর্য্য ধারণের শিক্ষা দিয়ে থাকে। ধৈর্য্যরে প্রতিফল হিসেবে আল্লাহর নিকট থেকে জান্নাত লাভ করা সম্ভব। তিনি আর্থিক অনটনের কারণে জীবনের আনন্দ উপভোগ থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবান মানুষদের প্রতি আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শিবিরের উদ্যোগে অসহায়-দুঃস্থদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ (০৮.০৫.’১৯) এসব কথা বলেন। নগর উত্তর সেক্রেটারী হাসান ইলাহী’র পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন শিবির নেতা এম ইউ হামীম, নোমান উর রশীদ জনি, আশরাফুল আলম প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন মহান আল্লাহ মানব জাতির পথ নির্দেশনার জন্য যে আল-কুরআন দিয়েছেন তা নিজেদের জীবনে অনুশীলন, বাস্তবায়ন না করার ফলে মুসলমানরা সর্বত্র নির্যাতিত হচ্ছে। তার জন্যই জাতি হিসেবে আমরা সত্যিই দুর্ভাগা বলা যায়। তিনি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে রাসূল (স) এর দেখানো পদ্ধতি পরিপালনে রাষ্ট্রকে যথার্থ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ উপস্থিত শতাধিক অসহায় দুঃখী মানুষের হাতে বিভিন্ন রকমের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ইফতার সামগ্রী তুলে দেন।