আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:

 

সারাদেশে যখন ধর্ষণ ঘটনা নিয়ে উত্তপ্তময় পরিস্থিতি চলছে ঠিক এমনই মুহুর্তে কাউখালীতে প্রথম শ্রেণীর ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জঘন্যতম এই ঘটনায় অভিযুক্ত গোপাল কৃঞ্চ নাথ (৫৫)কে গ্রেফতার করেছে কাউখালী থানা পুলিশ। গত রবিার রাত সাড়ে এগারটার সময় এই পাষন্ডকে আটক করে পুলিশ। এর আগে চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারী একই ঘটনা ঘটানোর পর কাউখালী থানায় সোপর্দ করা হলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগীতায় কাউখালী থানা থেকে ছাড়া পেয়ে যায়। এ ঘটনায় যথোপযুক্ত বিচার না হওয়ায় দু’মাসের মাথায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালে সে। সে সময় কাউখালী থানার ওসি মনজুরুল আলম মোটা অংকের বিনিময়ে গোপাল কৃষ্ণ নাথকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে মোটা অংকের বিনিময়টি অস্বীকার করে ওসি মনজুর আলম বলেন তখন ‘দুই পক্ষকেই থানায় ডাকা হয়েছিল। তারা মিটমাট করে নিয়েছে’।

পুলিশ জানায়, পেশায় একজন আটিষ্ট গোপাল কৃষ্ণ নাথ রবিবার সন্ধ্যয় ইসলামী এজেন্ট ব্যাংক কাউখালী শাখার সাইনবোর্ড লিখতে যায়। সেখানে সে ৭ বছরের এক সনাতনী শিশুকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে তার কাছে ডেকে নেয়। এ সময় পাষন্ড গোপাল শিশুটিকে উপর্যপুরী ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। ব্যাংকটির সিসিটিভি ফুটেজে এমন জঘন্য কর্মকান্ড ধরা পড়লে ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি প্রথমে শিশুর পিতা ও পরে পুলিশকে জানায়।

খবরটি জানাজানি হয়ে গেলে থানা পুলিশ তাৎক্ষনাৎ এসআই হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপালকে তার বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে শিশুটির পিতা বাদী হয়ে কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করেছে।

বার বার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে পার পেয়ে গেলেও ইসলামী ব্যাংকের সিসিটিভিতে ধারণকৃত ভিডিওর কারনে শেষ রক্ষা হয়নি গোপাল কৃঞ্চ নাথের। মামলার অগ্রগতি তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ ছুফি উল্লাহ, কাপ্তাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুনায়েদ কাউছার। এসময় তারা বলেন, আমরা এই ধরনের ঘটনার বিষয়টি অত্যন্ত কঠোরভাবে নিয়েছি। দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারা বলেন, এর সাথে কারো কোন প্রকার ইন্ধনদাতা বা সহযোগী থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।