আবদুল আজিজ, দেশ রূপান্তর:
সাগর পাড়ের নোনা জ্বলের ছেলে মুমিনুল হক সৌরভ। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান নামেই পরিচিত। সেই মুমিনুল হকের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বুধবার রাতে গায়ে হলুদের মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে। শুক্রবার ঢাকার মিরপুরের পিএসসি কনভেনশন হলে মহাধুমধাম করে জীবন সঙ্গীকে ঘরে তুলবেন তিনি।
বিয়ের পরেই নববধূ ফারিহাকে ঘরে তুলছেন মুমিনুল। তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএসের বাসিন্দা রানা আবুল বাশার ও তাসলিমা ইসলামের দ্বিতীয় কন্যা ফারিহা।
ফারিহা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার আরেকটি পরিচয় তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ ক্রিকেটার সৈকত আলীর শ্যালিকা।
দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে চায় মুমিনুল। ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে বিয়ের কার্ড দিয়ে এসেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মুমিনুলককে দোয়াও করে দিয়েছেন। বিয়ের সার্বিক তদারকি করতে বিসিবিকে নির্দেশনা দিয়েছেন। দেশের ক্রীড়াঙ্গণের রথি-মহারথী, জাতীয় দলের ক্রিকেটার ছাড়াও বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন পেশাজীবী।
মুমিনুলের বাবা নাজমুল হকও ছেলের বিয়ে নিয়ে বেশ ব্যস্ত। মা মালেকা জয়নাব, বড় ভাই মারুফুল হক শাওন, ছোট বোন মুমুসহ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনরাও অবস্থান করছেন ঢাকায়।
২০১৮ সালের আগস্টে বাগদান সম্পন্ন হয় ‘মুমিনুল-ফারিহার’।
মুমিনুলের ঘনিষ্ঠজন শাখাওয়াত হোসেন তুর্য জানান, মুমিনুল এবং ফারিহার সম্পর্কের বিষয়টি উভয় পরিবারই টুকটাক জানত। দু’জনের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। তাদের পছন্দের কথা চিন্তা করে উভয় পরিবারের সম্মতিতেই চলছে বিয়ের আয়োজন।
বিয়ের পর আগামী মাসে মুমিনুলের কক্সবাজারে বৌভাতের আয়োজন করা হবে বলেও জানান তুর্য। মুমিনুলের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে আমন্ত্রণপত্র বিলি করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ ১৯ তারিখে সব আনুষ্ঠানিকতা আমরা সেরে ফেলবেন এই তরুণ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।