মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করে মাদকবিরোধী সাড়াশি অভিযান সারাদেশে অব্যাহত থাকবে। এ অভিযান ক্রমান্বয়ে আরো গতিশীল ও বেগবান করা হবে। তবে পুলিশ বাহিনীর একার পক্ষে সারাদেশকে শতভাগ মাদকমুক্ত করা কখনো সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন গণসচেতনেতা ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। সমাজের প্রত্যেকস্থরে মাদকবাজীর বিরুদ্ধে আন্দোলন ও এবিষয়ে জনসচেতনতা, মাদকবাজদের ঘৃনা ও বয়কট করা হলেই মাদকমুক্ত সমাজ গড়া তোলা সম্ভব। মাদকবাজীর বিরুদ্ধে এই সামাজিক আন্দোলন ও প্রতিরোধ কক্সবাজার জেলা থেকেই সর্বপ্রথম গড়ে তুলতে হবে। কারণ কক্সবাজারের টেকনাফ হচ্ছে-মাদকের প্রবেশদ্বার। কক্সবাজার অন্ঞ্চলকে মাদকমুক্ত করেই সে মডেলকে সারাদেশব্যপী ছড়িয়ে দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল কক্সবাজার জেলা পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (এডমিন এন্ড অপস্) মোঃ মোখলেসুর রহমান বিপিএম-বার একথা বলেন। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম-এর সভাপতিত্বে কক্সবাজার পুলিশ লাইনে অনুষ্ঠিত উক্ত পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-পুলিশের চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, দৈনিক কালেরকন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ও সিনিয়র সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের চৌধুরী, জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মী, বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।