এম, রিদুয়ানুল হক, কক্সবাজারঃ

পড়াশোনা করার অধীর আগ্রহ থাকলেও রিকেট্স রোগের আক্রমণে বিদ্যালয় তথা পৃথিবী থেকে ঝড়ে পড়ার প্রায় কাছাকাছি পূর্ব বড় ভেওলা জিএনএ মিশনারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র মোহাম্মদ রাসেল। মোহাম্মদ রাসেল, পূর্ব বড় ভেওলা জিএনএ মিশনারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর একজন মেধাবী ছাত্র। পিতা নুর মুহাম্মদ, দিন মজুরী মাতা শাহিনা বেগম, গৃহিনী। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলা চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড নয়া পাড়া। রাসেল তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে তৃতীয়। রাসেল ৬ ষ্ঠ শ্রেণী থেকেই অত্র প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে আসছে। রাসেল বর্তমানে হাঁটা চলাফেরা করতে পারছেনা। সে ৮ বছর পূর্ব থেকে রিকেট্স রোগে আক্রান্ত হয়েছে। রাসেলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাসেলের জন্মের পর কেউ রাসেলের উক্ত রোগের কথা বলতে পারেনি। রাসেলর বয়স যখন ৫ বছর তখন তার পরিবার বুঝতে পেরেছে যে, রাসেলের কিছু একটা হয়েছে। কারণ রাসেল অন্যান্য ছেলেদের মতো স্বাভাবিকভাবেই হাঁটা কিংবা চলাফেরা করতে পারতনা।সুন্দর করে বসতে পারতো না। তারপরও বাবা মা রাসেল কে পড়ালেখা থেকে দূরে রাখেনি । পড়ালেখার একপর্যায়ে এসে রাসেলকে থেমে যেতে হয়েছে আজ! আজ রাসেল হাঁটতে চলতে পারেনা। রাসেলের স্কুলে আসার খুব আনন্দ। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস রাসেলকে এখন কোলে করে স্কুলে নিয়ে আসতে হয় কিংবা হাতে লাঠি ভর করে রাসেল তার প্রিয় বিদ্যালয় পূর্ব বড় ভেওলা জিএনএ মিশনারী উচ্চ বিদ্যালয়ে আসে। রাসেলের গত ২ মাস পূর্বে চট্টগ্রাম কোন একটি ক্লিনিকে একটি অপারেশন হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোন উন্নতি হয়নি। তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রায় সকলেই রাসেলকে ভালবাসেন এবং তার পড়ালেখার খোঁজ খবর নেন। তার মধ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আইয়ুব জানান, মোহাম্মদ রাসেলের পড়ালেখা করার খুবেই ইচ্ছা কিন্তু তার অসুস্থতার জন্য সে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারতেছেনা। দেশের কোন হৃদয়বান শিক্ষিত ব্যবসায়ী কিংবা প্রবাসীরা মেধাবী ছাত্র রাসেলের চিকিৎসার সাহায্যে এগিয়ে আসলে তার সুস্থতা ফিরে আসা সম্ভব হবে।
সাহায্য পাঠাতে চাইলে বিকাশ ০১৭৬৩৪৩৪০৮২ ( ছাত্রের শিক্ষক )