হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, নাইক্ষ‌্যংছড়ি:
বান্দরবানের নাইক্ষ‌্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের লেম্বুছড়ির গহীন অরণ্যে মিয়ানমার সীমান্তে- বুধবার (৩ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে দুর্বৃত্তদের সঙ্গে সেনাবাহিনী-র‌্যাবের ব‌্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় রাঙ্গামাটিতে ব্রাশফায়ারে সাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন জ্ঞান শংকর চাকমা নিহত হয়েছে। ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনী দুর্বৃত্তদের ধরতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে যৌথ অভিযান শুরু করেছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির হামলায় অংশগ্রহণকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে আরো নাশকতা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ জন্য তারা অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনে আবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে—এমন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা বুধবার নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ির বিভিন্ন স্থানে ফাঁদ পাতেন।
র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে.কর্নেল মিফতা উদ্দিন আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, সন্ত্রাসীদের একটি দল এক পর্যায়ে লেম্বুছড়ি এলাকায় সেনা টহলের তাড়া খেয়ে পালানোর সময় র‌্যাবের পাতা ফাঁদে প্রবেশ করে এবং ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাগুলির মুখে টিকতে না পেরে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে, ঘটনাস্থল তলাশী চালিয়ে একটি মৃতদেহসহ ০৭ টি এসএমজি, ৪৩৭ রাউন্ড গুলি, ১১ রাউন্ড খালি খোসা ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। মৃত ব্যক্তির পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জানা যায় তার নাম জ্ঞান শংকর চাকমা। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো.আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অধিক তৎপর রয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন সূত্র বলছে- জ্ঞান শংকর চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের সক্রিয় একটি সশস্ত্র সংগঠনের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী এবং রাঙ্গামাটি এলাকার চীফ কালেক্টর।
উল্লেখ্য : গত ১৮ মার্চ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির সাজেকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ সাতজন প্রাণ হারান এবং গুরুতর আহত হন আরো ১৯ জন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন ছিলেন সন্ত্রাসী জ্ঞান শংকর চাকমা।