ডেস্ক নিউজ:
পথচারীকে তুলে নিয়ে ছিনতাই চেষ্টা ও বেধড়ক মারধরের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১ এপ্রিল ১৯) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান এই তথ্য জানান। প্রক্টর বলেন, শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঘটনাটির অধিকতর তদন্তের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সঞ্জয় ঘোষ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের মোহাম্মদ আল রাজি, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের রায়হান পাটোয়ারী, দর্শন বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের মোকাররম শিবলু ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শাহ মোস্তাক সৈকত। সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর আগে অন্য একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত বছর রায়হান পাটোয়ারীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃত ওই পাঁচ শিক্ষার্থী কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। অন্যদিকে অপরাধের বিষয়টি তাদের পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

গত শনিবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর জামাতা ভূক্তভোগী মোহাম্মদ মনির সরদার ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে রওহানা দেন। বিশমাইল এলাকায় পৌঁছার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী তাকে তুলে নিয়ে বোট্যানিকাল গার্ডেন এলাকার ঝোঁপে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। এ সময় তাকে দিয়ে বাড়িতে ফোন কল করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ছিনতাইকারীরা। সে সময় মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই চেষ্টায় বাধা দিলে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে চেইন দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ৫ জনের মধ্যে দুইজন পালিয়ে যায়। পরে আটককৃতদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা অফিসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পালিয়ে যাওয়া দুই জনের পরিচয় পাওয়া যায়।