নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বনরক্ষী বলেন, বনখেকো নুরুল ইসলাম প্রতিনিয়তই পাহাড় থেকে মাটি ও বালি পাচার করে। সংরক্ষিত বনের গর্জন ও সেগুন গাছ কেটে পাচার করে সে। এসব অপরাধ সে নির্বিঘেœ চালাতে গড়ে তুলেছে একটি সশস্ত্র বাহিনী। তাই তার বিরুদ্ধে চাইলেই অভিযানে যেতে পারেনা বনবিভাগ।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, নুরুল ইসলামের সাথে টইটং বনবিটের কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশ রয়েছে। তাদেরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে তার এ অপরাধ অনিয়ম চালায়। তার এসব কর্মকান্ডে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের উপর নেমে আসে বিবিধ নির্যাতন। তাই কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না। গহীন বনে বিভিন্ন পয়েন্ট অবৈধ ভাবে পাহাড় দখল করে সে গড়ে তুলেছে এক সাম্রাজ্য। পাহাড়ে রয়েছে তার বেশ কয়েকটি আস্তানা। নতুন নতুন বাড়ী তৈরি করে কয়েকমাস নিজের আওতায় রাখে সে। পরে তা মোটা টাকার বিনিময়ে হাত বদল করে দেয়। এর ফলে ঐ সংরক্ষিত বনে অবৈধ বসতি বেড়েই চলছে। এতে প্রতিনিয়ত কাটা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এই গাছ নিধণের কারণে দিনদিন কমে যাচ্ছে বিরল প্রজাতির পশুপাখি। এছাড়া পাহাড়ে তার রয়েছে ৫-৬শ অধিক গরু মহিষ। এই গরু ও মহিষ গুলো প্রতিদিনই সামাজিক বনায়নের চারাগাছ গুলো খেয়ে সাবাড় করে। অথচ সরকার প্রতিবছর এই বনায়নের জন্য কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আসছে। কিন্তু তার এই গাছ পাচার ও তার পালিত পশুদের ধারা ক্ষতিগ্রস্ত বনায়ন থেকে প্রতিবছর রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে বনের।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম বলেন, আমি কোন অপরাধ অনিয়মে জড়িত নই। কৃষি কাজ ও গরু মহিষ পালন করে দিনানিপাত করি আমি। এসব আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার।
এব্যাপারে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল গফুর মোল্লা বলেন, নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি। সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।