আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:

অবশেষে রাঙামাটি শহরের বহুল আলোচিত বখাটে প্রাইমারী শিক্ষক ফারক আহাম্মেদ তালুকদার বিপুকে আটক করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে শহরের পুরাতন বাস স্টেশন এলাকায় ঠিকাদার এমাদুল ইসলামের বাসায় হামলা চালিয়ে তার স্ত্রী-সন্তানদের আহত করার সময় কোতয়ালী থানা পুলিশের হাতে হাতেনাতে আটক হয় বিপু। এসময় তার অপরসঙ্গীরা পালিয়ে যায়।

বখাটে বিপুকে আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহেদুল হক রনি জানিয়েছেন, গত বুধবার শহরের বনরূপাস্থ শেভরনের সামনে ঠিকাদার এমাদুল ও তার স্ত্রী সাজিয়া আক্তারের উপর হামলা করে তাদেরকে আহত করে বিপু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এই ঘটনায় তারা বৃহস্পতিবার কোতয়ালী থানায় হাজির হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলা নাম্বার-২৩, তারিখঃ ২৯/০৩/২০১৯ইং। ওসি জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন সময়ে শুক্রবার রাতে আবারো এমাদুলের বাসায় হামলা চালিয়েছে বিপু ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। এসময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিপুকে হাতেনাতে আটক করে। রাত সাড়ে বারোটার সময় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। আটককৃত বিপু দীর্ঘ কয়েকবছর ধরেই নিজ কর্মস্থল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত নাথেকে সেখানে বর্গা শিক্ষক দিয়ে তার চাকুরী চালিয়ে যাচ্ছে। সে রাঙামাটি শহরে থেকে ফার্নিচার ব্যবসা করতো বলে জানাগেছে।

এদিকে, আহত এমাদুল জানিয়েছেন, আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে শেভরনে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। এসময় বিপু ও আরো কয়েকজন এসে আমাকে এলোপাতারিভাবে পেঠাতে থাকে। এসময় আমার সঙ্গে থাকা আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচানোর চেষ্ঠা করলে তাকেও চড় থাপ্পর মেড়ে এবং শ্লীলতাহানি করে বিপু। এসময় হামলাকারিরা আমার কাছে থাকা ৭০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয় বলে এমাদুল জানান।

এদিকে হামলায় আহত এমাদুলের নাক দিয়ে অনবরত রক্ত ঝড়তে থাকায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ কর্তৃপক্ষ। এমাদুলের ভাই মোজাম্মেল জানিয়েছেন, বিপু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। সে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকুরি নিয়ে কর্মস্থলে নাড়িয়ে বর্গা শিক্ষকের মাধ্যমে চাকুরি চালিয়ে আসছে। বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ জানলেও অজ্ঞাত কারনে এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। সন্ত্রাসী বিপু আমার ভাগনীর ছেলেকেও অপহরণ করার চেষ্ঠা চালিয়েছে। এছাড়াও সে আমাদের পরিবারের সদস্যদের উপর এপর্যন্ত কয়েকবার হামলা চালিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আমরা কোনো সুবিচার পাচ্ছিনা। তিনি জানান, পুরো পুরান পাড়ার এমন কোনো পরিবার নেই, যারা এই সন্ত্রাসী বিপুর নির্যাতনের শিকার হয়নি।