নিজস্ব প্রতিবেদক:

নেতাকর্মীদের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক  কায়সারুল হক জুয়েল।

রোববার বিকেলে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রিয় নেতাকে বরণ করতে হাজারো নেতাকর্মী ভীড় করে।

সমবেত হাজারো নেতাকর্মী মরহুম একেএম মোজাম্মেল হক এর যোগ্য উত্তরসূরী জননেতা জুয়েলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।

শনিবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় কায়সারুল হক জুয়েলকে কক্সবাজার সদর উপজেলার নৌকা প্রতিকের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।

এর আগে শুক্রবার রাতে গণভবনে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে একেএম মোজাম্মেল হকের পরিবারের সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়।

দলের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে রোববার বিকাল ৫ টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আসার সময় বিমানে তার সাথে কক্সবাজারের শীর্ষ পর্যায়ের ২০ জন নেতা ছিলেন। তাদের প্রিয়নেতা কক্সবাজারে পৌঁছলে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয় বিমানবন্দর প্রাঙ্গণ।

পরে তার বিশাল গাড়ি বহরটি মিছিল সহকারে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাজারো উৎসুক জনতা তাকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। ওই সময় একেএম মোজাম্মেল হক সড়ক থেকে প্রধান সড়ক পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপি যানজটের সৃষ্টি হয়। পথে বহরের সিনিয়র নেতা-কর্মীদের নিয়ে নতুন বাহারছড়া জামে মসজিদে আসরের নামাজ আদায়পুর্বক তার পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করেন। তারপর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে কক্সবাজার পৌরসভার সামনে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রহিম উদ্দিন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদা তাহের, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিম ও সংবর্ধিত প্রার্থী কায়সারুল হক জুয়েলসহ অন্যান্যরা।

সংবর্ধনার জবাবে কায়সারুল হক জুয়েল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার বাবা মরহুম একেএম মোজাম্মেল হকের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমাকে সদর উপজেলার জন্য নৌকার মাঝি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমাকে নির্বাচিত করে প্রধানমন্ত্রীর মুখ উজ্জল করার জন্য আপনাদের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করে সদর উপজেলার সকল স্তরের জনগনের সেবা করার সুযোগ দিন। তিনি বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পিছনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, আমার বাবা মারা যাওয়ার পুর্বে আমাদের বংশের যোগ্য উত্তরসুরী প্রিয় বড় ভাই মুজিবুর রহমানের হাতে আমাদের পরিবারের দায়িত্ব দেন। মুজিব ভাই সে দায়িত্ব পালন করলেন এবং কথা রাখলেন। আমার পরিবার মুজিব ভাইয়ের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। সকলকে আমার অভিভাবক মুজিব ভাইয়ের পাশে থাকার বিনীত অনুরোধ জানান তিনি।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল আযাদ, ৫ নং কাউন্সিলর সাহাব উদ্দিন সিকদার, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাহউদ্দিন সেতু, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মোরশেদ আহমদ বাবু, মহিলা কাউন্সিলর শাহেনা আকতার পাখি, ইয়াছমিন আকতার, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা হক লুনা, পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এবি সিদ্দিক খোকন, জেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এড একরামুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা শাহিনুল হক মার্শাল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সাধারন সম্পাদক উজ্জল কর, সহ-সভাপতি হাজী এনামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মেহেদী রহমান, আসিফুল মওলা, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসেদুল হক রাশেদ, মাস্টার শাহাদাত হোসাইন, সৌদি প্রবাসী ফরিদুল আলম প্রমুখ। এছাড়াও আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।