নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের সাড়া জাগানো হোপ ফাউন্ডেশন এবার পাহাড়ী জেলা বান্দরবানে কার্যক্রম শুরু করেছে। বান্দরবান সিভিল সার্জনের আহ্বানে প্রথমবারের মতো বান্দরবানে সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে হোপ ফাউন্ডেশন। গত ২২ই ফেব্ররুয়ারী এক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমেই এই দুর্গম পাহাড়বাসীর সেবায় যাত্রা শুরু করলো হোপ ফাউন্ডেশন।

ওইদিন বান্দরবান জেলার সদরের বালাঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে  দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। ওই ক্যাম্পে  ২৪১ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। এছাড়া একজন ফিস্টুলা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বান্দরবন পার্বত্য জেলা প্রমাসক মো: দাউদুল ইসলাম, বান্দরবন জেলা র্পাবত্য পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দস, পৌরসভার মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, বান্দরবান পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অং চালু, ইউএনএফপিএ’র প্রোজেক্ট টেকনিক্যাল অফিসার ডা: অনিমেশ বিশ্বাস এবং হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন অব বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএম জাহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা: অং সুই প্রু মারমা।

উদ্বোধনকালে মন্ত্রী বলেন, হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন অব বাংলাদেশ যে সকল স্বাস্থ্যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তা সত্যি প্রশংসনীয়। এই কার্যক্রম অব্যাহত রেখে বান্দরবন জেলাকে সেবার দিয়ে যাওয়ার জন্য  আহ্বান জানাচ্ছি। যদি তাই করা হয় তাহলে বান্দরবানের জনগণের কাছে হোপ ফাউন্ডেশন অস্মরণীয় হয়ে থাকবে। একই সাথে হোপ ফাউন্ডেশন অর্জন করতে সক্ষম হবে এখানকার মানুষের অপরিসীম ভালোবাসা।

হোফ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আজমুল হুদা জানান, বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জনের আহ্বানে হোপ ফাউন্ডেশন সেখানে  মেডিকেল ক্যাম্প করেছে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের অর্থায়নে মেডিকেল ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত হয়। ওই ক্যাম্পে জেলার ২৪১ জন বিভিন্ন রোগের রোগীকে বিনামূল্য চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনকে সেলাই মেশিন দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।

এর আগে কক্সবাজারের হোপ হাসপাতালে বান্দরবানের ২৮ জন রোগী সেবার মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে সুস্থ জীবন যাপন করছেন।

হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন অব বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএম জাহিদুজ্জামান বলেন, হোপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রসিডেন্ট ডা: ইফতিখার মাহমুদ এর স্বপ্ন চট্রগ্রাম বিভাগকে তথা বাংলাদেশের মাতৃ-মৃত্যু ও শিশু-মৃত্যুর কমানোর এক পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় হোপ ফাউন্ডেশন কক্সবাজার জেলাব্যাপি কাজ করছে এবং সরকারকে সহায়তা করে যাচ্ছে। হোপ হাসপাতালে ২০১১ সাল থেকে প্রসবজনিত ফিস্টুলা বিনামূলে অপারেশন করে যাচ্ছে। এই পর্য়ন্ত ৪৬৩ জন ফিস্টুলা রোগকে সফল অপারেশন সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে বান্দরবানের ছিলো ২৮জন।